পূর্ব লাদাখে প্যাংগং লেক সংলগ্ন এলাকায় ভারত-চিনের সংঘাত খবর বিভিন্ন সময়ে শিরোনাম কেড়েছে। গত ২০২০ সালের মে মাসের পর থেকে লাদাখ ঘিরে চিনের আগ্রাসনে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে এই এলাকা। সেই দিক থেকে এর স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব তাৎপর্যপূর্ণ। আর এই প্যাংগং লেকের ওপরেই এবার জাঁকিয়ে বসে ব্রিজ নির্মাণ করে চলেছে চিন। একাধিক ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে সেখানে চিন পুরোদমে ব্রিজ নির্মাণের কাজে ব্যস্ত। এই ছবি ধরা পড়েছে এক স্যাটেলাইট ছবিতে। ঘটনার দিকে কড়া নজর রাখছে দিল্লির কূটনৈতিক মহল।
প্যাংগংয়ের ওপর চিন নির্মিত এই ব্রিজ ৮ মিটার চওড়া, ৪০০ মিটার দীর্ঘ হতে চলেছে। আর তা একবার নির্মিত হয়ে গেলে লালফৌজকে বিভিন্নভাবে তা সুবিধা পাইয়ে দেবে। উল্লেখ্য, প্যাংগং লেকের উত্তরে রয়েছে চিনের সেনা ক্যাম্প। ২০২০ সালে লাদাখে চিনা আগ্রাসনের সময় সেই এলাকায় বারবার বিশাল সংখ্যক চিনা সেনা জওয়ানকে রাখা হয়েছিল। উল্লেখ্য, যে এলাকার ওপর দিয়ে চিন ব্রিজ নির্মাণ করছে, তার অন্যতম দাবিদার ভারত। যদিও বিষয়টি নিয়ে চিনের নানান যুক্তি রয়েছে। ম্যাক্সারের স্যাটেলাইট ছবিতে গত ১৬ জানুয়ারি চিনের এই কর্মকাণ্ডের ছবি ধরা পড়ে। পর পর কয়েকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চিন এই ব্রিজ নির্মাণে ব্রতী হয়েছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এই স্ট্যাটেজিক এলাকার ১৩৪ কিলোমিটার পশ্চিমেরদিকে চিন গড়ছে তাদের ব্রিজ। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বহু আগেই দাবি করা হয় যে, ৬০ বছর আগে, প্যাংগং সংলগ্ন ওই এলাকা ভারতের অংশ ছিল। চিন তা অবৈধভাবে দখলে রেখেছে। আর সেই দখলে রাখা জমিতেই এবার ব্রিজ গড়তে শুরু করেছে বেজিং। এই ব্রিজ নির্মিত হলে, প্যাংগংয়ের উত্তরে মোতায়েন চিনের সেনা বাহিনী সহজে রুটোং এর পিএলএ ক্যাম্পে চলে আসতে পারবে। তাদের যাত্রাপথে ১৫০ কিলোমিটার দূরত্ব লাঘব হবে। নিঃসন্দেহে তা স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে বড়সড় গুরুত্বের দিক। এর আগে ২০২০ সালে প্যাংগং ঘিরে চিনের আগ্রাসন রপখে দিয়ে কৈলাস হাইটস দখে রাখে ভারতীয় সেনা। সেই সময় স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকে লালফৌজ। ইন্টেল ল্যাবের বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল সিমন বলছেন, ব্রিজ নির্মাণের নীতি ‘ মনে হচ্ছে ,বেজিং চাইছে এলাকায় নিজের স্থায়িত্ব ধরে রাখতে।’ তিনি আরও বলছেন,’পিএলএ পাঠ পড়ে নিয়েছে। তাদের পরিকল্পনাকারীরা মসৃণ সংযোগ রক্ষার জন্য , দ্রুত গতিশীলতার লক্ষ্যে ও ভারতের মুখোমুখি হতে ‘ এমন ব্রিজ নির্মাণ করছেন। এদিকে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে ওই এলাকাকে প্রতিরক্ষার চাদরে মুড়তে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’