সদ্যোজাতের বার্থ সার্টিফিকেট-সহ প্রয়োজনীয় নথি নেই কেন? শিশু পাচারচক্রের পর্দাফাঁস। গ্রেফতার নার্সিংহোমে মালিক, তাঁর স্ত্রী-সহ ৪ জন। রেহাই পেলেন না শিশুটির দাদুও। ঘটনাস্থল, দিঘা।
পুলিস সূত্রে খবর, বয়স মাত্র ৪ দিন। সোমবার দিঘা হাসপাতালে টিকাকরণের সঙ্গে আনা হয়েছিল এক শিশুকে। সঙ্গে ছিলেন ৩ জন মহিলা। কিন্তু টিকাকরণে আগে শিশুটির জন্ম শংসাপত্র দেখাতে পারেননি তাঁরা। অসঙ্গতি ছিল কথাবার্তায়ও! তারপর? ঘটনাটি পুলিসের নজরে আনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশুটি তুলে দেওয়া হয় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্যদের হাতে।
এদিকে তদন্তে নেমে প্রথমে মর্জিনা বিসি নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এগরার এক নার্সিংহোম মালিক সঞ্জয় গোল ও তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়ার হদিস মেলে। গ্রেফতার করে ওই দম্পতিকেও। অভিযোগ, নিঃসন্তান মর্জিনাকে ২ লক্ষ টাকায় কিনতে সহযোগিতা করেছিলেন সঞ্জয় ও সুপ্রিয়াই।
কীভাবে? তদন্তে জানা গিয়েছে, এগরায় যে নার্সিংহোমে চালাতেন সুপ্রিয়, সেই নার্সিংহোমেই জন্ম হয় ওই শিশুটির। কবে? ২৫ অগাস্ট। এরপর তাকে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিশুটির দাদু বিক্রি করে দেন অভিযোগ। শুধু তাই নয়, এই গোটা প্রক্রিয়া মধ্যস্থকারীর ভূমিকা পালন করেন নার্সিংহোমের মালিকই! দাদুকেও গ্রেফতার করেছে পুলিস।