দ্যা কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। দেশজুড়ে সিনেমাটি চললেও বাংলার ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম কেন? সেই প্রশ্ন তুলেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিমার বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের এই নোটিশ প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, শুধুমাত্র কিছু সাম্প্রদায়িক মানুষকে খুশি করতেই এই সিনেমায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মু্খ্যমন্ত্রী। কিন্তু এরফলে বাংলার মানুষের মধ্যে সিনেমাটি দেখার আগ্রহ আরও বাড়বে।
পশ্চিমবঙ্গ কি ভারতের অন্য অংশের তুলনায় আলাদা? কেন পশ্চিমবঙ্গে দ্যা কেরালা স্টোরি কেন নিষিদ্ধ তা জানতে চেয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে নোটিশ জারি করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, “আমি আগেই বলেছিলাম আদালতে গেলেপরে এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। এই নিষেধাজ্ঞা আইনসম্মত নয় এবং কোনো যুক্তিও নেই। ” তাঁর অভিযোগ,
“মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র কিছু সাম্প্রদায়িক মানুষকে খুশি করতে এই ধরনের কাজ করেছেন।” একই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, “এরফলে শেষ পর্যন্ত বাংলার মানুষের মধ্যে কেরল স্টোরি দেখার আগ্রহ আরো বাড়বে, কমবে না।”
প্রসঙ্গত সিনেমাটি নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিনেমাটির নির্মাতারা। সে মামলাটিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট নোটিশ পাঠিয়েছে। সিনেমাটির প্রযোজক সংস্থার হয়ে আদালতে সাওয়াল করেন আইনজীবী হরিশ সালভে জানান, আইন শৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে সিনেমাটির সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ তার আগেই সিনেমাটি তিন দিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলেছে কিন্তু কোনো সমস্যা হয়নি।
এদিকে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, সিনেমাটি রাজ্যে চালানো হলে আইন শৃঙ্খলা জনিত সমস্যা হতে পারে বলে গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল।
তবে দু’পক্ষের সাওয়াল জবাবের পর প্রধান বিচারপতি বলেন, সিনেমাটি সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্যান্য অংশের তুলনায় আলাদা নয়। তারপরই তার প্রশ্ন, কেন পশ্চিমবঙ্গে সিনেমাটি নিষিদ্ধ করবে? একইসঙ্গে তারা আরও বলেন, যদি মানুষ মনে করেন সিনেমাটি দেখবেন না, তবে তারা দেখবেন না।