ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় ফের নকশালদের নাকশতা! টহলদারির সময় আইইডি ফেটে জখম এক জওয়ান

ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় নকশালদের পেতে রাখা আইইডি বোমা ফেটে জখম হলেন নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ান। ওই জওয়ান ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ডে কর্মরত। সুকমার তুমালপদ এবং রাইগুড়েমের মাঝে বিস্ফোরণটি হয়েছে। জখম জওয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল এলাকায় টহলদারির (এরিয়া ডমিনেশন) জন্য বেরিয়েছিলেন। তখনই একটি আইইডি বিস্ফোরণ হয় এবং তাতে ওই জওয়ানের পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে।

দু’দিন আগেই সুকমায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ১০ মাওবাদীর মৃত্যু হয়। গোপন সূত্রে কন্টা থানার পুলিশের কাছে খবর আসে ওড়িশা হয়ে এক দল মাওবাদী কন্টা পেরিয়ে ছত্তীসগঢ়ে ঢুকছেন। সেই খবর পাওয়ার পরই কন্টা থানা ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ডকে (ডিআরজি) খবর দেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে ওই মাওবাদীদের খোঁজে যৌথ অভিযান শুরু হয়। চলে গুলির লড়াই। তাতে ১০ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় ইনসাস, একে-৪৭ এবং আরও বেশ কিছু রাইফেল এবং আগ্নেয়াস্ত্র। শুক্রবারের ওই অভিযানে মৃত মাওবাদীদের মাথার দাম ছিল ৪৩ লাখ টাকা। কারও মাথার দাম ছিল এক লাখ টাকা, তো কারও দাম ছিল আট লাখ টাকা পর্যন্ত। ওই অভিযানের পর রবিবার সকালে টহল দেওয়ার সময় আইইডি ফেটে জখম হলেন এক জওয়ান।

গত অক্টোবরে দন্তেওয়াড়া-নারায়ণপুর সীমানার অদূরেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ের ৩৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছিলেন। নিহত মাওবাদীদের মোট মাথার দাম ছিল দু’কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের অক্টোবর মাসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে ২৩০ জনেরও বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন ৮১২ জন। আত্মসমর্পণ করেছেন ৭২৩ জন মাওবাদী। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের ৩৮টি জেলায় এখনও সক্রিয় মাওবাদীরা। যদিও সরকারি আধিকারিক সূত্রে খবর, ২০১০ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে হিংসা ৭২ শতাংশ কমেছে। মৃত্যুও কমেছে প্রায় ৮৬ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.