আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তার পরই চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে ভারতের চন্দ্রযান-৩। তার আগে আজ অগ্নিপরীক্ষা চন্দ্রযান-৩-এর। আজ ভারতীয় সময়ে বিকেলে তার বর্তমান কক্ষপথ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার নীচে নামতে চলেছে চন্দ্রযান। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে আজ কক্ষপথের প্রায় ১০০ কিলোমিটার নীচে নামিয়ে আনা হচ্ছে চন্দ্রযান-৩-কে। জানা যাচ্ছে আজ সকাল সাড়ে আটটা থেকেই ওই কাজ শুরু হয়েছে।
চন্দ্রযান যত নীচে নামবে, ততই বৃত্তাকার হবে কক্ষপথ। এর পর ঘুরপাক খেতে খেতে ক্রমশ নীচে নামবে সে। এর পরেই চন্দ্রযান-৩ থেকে আলাদা হয়ে যাবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। তার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ল্যান্ডার বিক্রম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। আগামী ২৩ অগাস্ট এবং ২৪ অগাস্টের মধ্যবর্তী গভীর রাতে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ কে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে ISRO-র। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামানো হবে ভারতীয় মহাকাশযানকে।
অতীতে অত্যন্ত দুর্গম খানাখন্দে ভরা ওই এলাকায় কোনও বিশ্বের কোনও মহাকাশযান অবতরণ করেনি। ফলে সেখানে নয়া আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেখানকার মাটি আক্ষরিক অর্থেই ডেলিকেট অর্থাৎ অত্যন্ত নরম। মাটি স্পর্শ করে অবতরণ বা ল্যান্ড করাই সেখানে এক বড় চ্যালেঞ্জ।
এর আগে রাশিয়া, আমেরিকা, চিন চাঁদে মহাকাশযানের সফল অবতরণ করিয়েছে। তবে তা হয়েছে চাঁদের উত্তর মেরুতে। এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে চলেছে বিশ্বের কোনও মহাকাশযান। ৭০ ডিগ্রি অক্ষাংশ ঘেঁষে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান-৩’। এর আগে যত মহাকাশযান চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে, সবক’টিই চাঁদের বিষুবরেখার উত্তর বা দক্ষিণ অক্ষাংশের কয়েক ডিগ্রি এদিক-ওদিক করে অবতরণ করেছে। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র ‘সারভেয়র-৭’ ১৯৬৮ সালের ১০ জানুয়ারি প্রায় ৪০ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ ঘেঁষে অবতরণ করেছিল। সেই মাপকাঠি ছাপিয়ে আরও দক্ষিণে অবতরণের লক্ষ্য রয়েছে ‘চন্দ্রযান-৩’-র।