চন্দ্রযান-৩ মিশন ইসরো’র মুকুটে পালক। যথাযথ ভাবে এটির লঞ্চ হয়েছে এবং এটি এখনও পর্যন্ত নিরাপদেই অভীষ্টপথে ছুটে চলেছে। এ নিয়ে আজ, ২৫ জুলাই ইসরো একটি ট্যুইটও করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আর্থ-বাউন্ড পেরিজি ফায়ারিং– যেটাকে অরবিট-রেইজিং ম্যানুভারও বলা হয়েছে– সাফল্যের সঙ্গে সম্পাদন করতে পেরেছে ‘ইসরো’। যার ফলে, এটি পৃথিবীর আওতার একেবারে শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পেরেছে, যেখান থেকে তার চাঁদের দিক যাত্রা শুরু হবে। ১২ লক্ষ ৭ হাজার ৬০৯ কিমি/২৩৬ কিমি কক্ষপথটিতে পৌঁছবে চন্দ্রযান-৩, তবে এখনও পৌঁছয়নি। এর পরের ধাপে আছে ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন (টিএলআই)। ১ অগস্ট রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে এই লঞ্চ হবে।
ভারতের এর আগের মিশন চন্দ্রযান-২ ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এই চন্দ্রযান-৩ মিশন নিয়ে ভারত খুবই উত্তেজিত হয়ে আছে। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) চন্দ্রযান-৩ বহনকারী স্পেসক্র্যাফ্ট সাফল্যের সঙ্গে লঞ্চ করতে পেরেছে। এটিই ভারতের হেভিয়েস্ট জিএসএলভি। তৈরি করা হয়েছে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। ১৪ জুলাই এটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
ইসরো চাঁদে পাড়ি দেওয়ার আগে তাদের মহাকাশযান ধারণকারী পেলোড ফেয়ারিংকে জিওসিঙ্ক্রোনাস লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক থ্রি-র সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিল। ভারতের সবচেয়ে ভারী রকেটের সঙ্গে পেলোড ফেয়ারিংয়ের জুড়ে দেওয়ার কাজটি শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারেই হয়েছিল। অতি উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই প্রকল্প নিয়ে ইসরো খুবই আত্মবিশ্বাসী ও উচ্ছ্বসিত। তারা জানিয়েছে, লুনার সারফেসে বা চাঁদের মাটিতে ঘোরার সময়ে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের ভূ-প্রকৃতি ও তার পরিবেশ নিয়ে ‘ইন-সিটু কেমিক্যাল অ্যানালিসিস’ চালাবে। এটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু-অঞ্চলে ঘোরাফেরা করবে।
চন্দ্রযান-৩ -এর মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে যান নামিয়ে চাঁদ-চর্চা শুরু করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেকর্ড করে ফেলবে ভারত। এই বিরল কাজটি সুষ্ঠু ভাবে করার ক্ষেত্রে বিশ্বে চতুর্থ দেশ হতে চলেছে ভারত।