“চন্দ্রযান থ্রি” মণ্ডপ গড়ে তাক লাগিয়েছে রামপুরহাটের চাঁদমারি আবাসিকবৃন্দ

 চন্দ্রপৃষ্ঠে ভারতের দূত হয়ে বিরাজ করছে চন্দ্রযান থ্রি। এবার পুজোয় সেই মডেলের মণ্ডপ তৈরি করে নজর কেড়েছে বীরভূমের রামপুরহাট চাঁদমারি আবাসিকবৃন্দ।
বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদমারি আবাসিকবৃন্দ প্রতিবছর নতুন ভাবনা নিয়ে পুজো মণ্ডপ তৈরি করে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাদের এ বছরের পুজোর থিম চন্দ্রযান- থ্রি। বাজেট প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। একমাস ধরে মণ্ডপ শিল্পীরা দিনরাত পরিশ্রম করে হুবহু চন্দ্রযান- থ্রির রূপ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ জুলাই চন্দ্রযান- থ্রি’র রকেট যাত্রা শুরু করে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস থেকে। ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করে ল্যান্ডার বিক্রম। সফল অবতরণের ফলে গর্বিত ভারতবাসী। বিজ্ঞানীদের সম্মান জানাতে এবং জেলাবাসীকে চন্দ্রযান সম্পর্কে সাম্যক ধারণা দিতেই এ বছরের পুজোর থিম চন্দ্রযান থ্রি গড়েছেন উদ্যোক্তারা।

ভারতের এমন সাফল্যের কান্ডারি ইসরোর বিজ্ঞানীরা দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছেন। ঠিক সেই রকমই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই মিশনের অংশ হিসাবে ছিলেন একাধিক মহাকাশ বিজ্ঞানী। বীরভূমকেও গর্বিত করেছেন এমনই তিন মহাবিজ্ঞানী। এই সকল মহাকাশ বিজ্ঞানীরা হলেন মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রামের বিজয় কুমার দাই, পাইকরের মোশারফ হোসেন এবং সিউড়ির সৌম্যজিত।

এই ক্লাবের এবছরে পুজো ১৯ তম বর্ষে পদার্পণ করল। চন্দ্রযানের আদলে মণ্ডপ গড়া হলেও প্রতিমা করা হয়েছে সাবেকি। সপ্তমীর দিন মা দুর্গাকে বিভিন্ন ধরনের ফল, শুকনো চিঁড়ে, নারকেল খন্ড দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়, অষ্টমীর দিন লুচি, সুজি, মিষ্টি দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়, নবমীর দিন খিচুড়ির ভোগ এবং দশমীর দিন পুনরায় লুচি, সুজির ভোগ নিবেদন করা হয়। প্রত্যেক বছর তাদের পুজোয় থাকে নতুনত্ব এবং চমক। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য আমন লালা বলেন, “চন্দ্রযান থ্রি সাফল্যের সঙ্গে চাঁদে পাঠিয়ে বিজ্ঞানীরা ভারতবর্ষকে গর্বিত করেছে।গর্বিত আমরাও। তাই বিজ্ঞানীদের সাফল্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.