পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চার নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিস অক্ষর পটেলকে। বাবর আজ়মদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে কী পরিকল্পনা ছিল দলের? তাঁর নিজেরই বা কি ভাবনা ছিল? ৪৮ ঘণ্টা পর মুখ খুললেন অক্ষর নিজেই।
সাধারণত ব্যাটিং অর্ডারের সাত বা আট নম্বরে নামেন বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। অথচ ঋষভ পন্থের মতো বাঁ হাতি ব্যাটার ক্রিজ়ে থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চার নম্বরে অক্ষরকে পাঠান রাহুল দ্রাবিড়েরা। ১৮ বলে ২০ রান করেছিলেন তিনি। অক্ষর জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তাই খুব বেশি সময় পাননি ভাবার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে অনেক দিন পর আবার ফিরেছে যুজবেন্দ্র চহালের ‘চহাল টিভি’। চহাল সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অক্ষরের। সেখানে অক্ষর বলেছেন, ‘‘আগে থেকে কিছু ঠিক ছিল না। আমাকে যখন চার নম্বরে নামতে বলা হয়েছিল, তখন আর পরিকল্পনা করার মতো সময় ছিল না। চাপও হয়নি। কারণ পন্থ তখন ব্যাট করছিল। মাঠে নামার পর ক্রিকেট নিয়ে কোনও কথা হয়নি আমাদের। পন্থ আমার সঙ্গে একটু মজা করল। যাতে আমি অপরিচিত পরিস্থিতির সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পারি। পরে ওর পরামর্শ আমাকে সাহায্য করেছিল।’’
২২ গজে অক্ষরকে সঙ্গী হিসাবে পেয়ে সমস্যা হয়নি পন্থেরও। তিনি বলেছেন, ‘‘সব সময় ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামি। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে একটু চাপ থাকেই। অক্ষর নামাতেও চাপ হয়নি। আইপিএলের কিছু ম্যাচে ও কিন্তু তিন বা চার নম্বরে ব্যাট করেছে। এই জায়গাটা ওর অপরিচিত নয়। আমাদের বোঝাপড়াও ভাল। দু’জনে সাবলীল ভাবে খেলতে পেরেছি। আমরা পরিস্থিতি নিয়ে বেশি ভাবিনি। বল বুঝে খেলার এবং রান তোলার চেষ্টা করেছিলাম।’’
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বল হাতেও সফল হয়েছিলেন অক্ষর। বিশেষ করে পাকিস্তানের ইনিংসের ১৬তম ওভারে তাঁর চারটি বলে কোনও রান নিতে পারেননি পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম। অক্ষর বলেছেন, ‘‘যে জায়গায় বল পেলে ইমাদ সহজে শট নিতে পারে, সেই জায়গায় বল না দেওয়ার চেষ্টা করেছি। অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলে ফিল্ডিং সাজিয়েছিলাম। চাইনি মিড উইকেটের দিক বড় শট নিক। হাওয়ার অভিমুখ ওদিকে ছিল। গতিও ভাল ছিল। ছয় হোক চাইনি। পরিকল্পনা মতো বল করতে পেরে আমি খুশি। বুঝতে পারছিলাম প্রতিটি রানহীন বল পকিস্তানের চাপ বৃদ্ধি করছিল।’’
আয়ারল্যান্ড এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতে গ্রুপ ‘এ’তে শীর্ষে রয়েছে ভারত। বুধবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের প্রতিপক্ষ আমেরিকা।