দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়নে গতি এবং বাউন্স ভরা পিচে কিছু দিন আগেই ১০১ রান করে এসেছেন। দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন সম্পূর্ণ অন্য ধরনের পিচে, যেখানে ঘূর্ণিই আসল কথা। সেই পিচে সফল হলেন কেএল রাহুল। অল্পের জন্য শতরান না পেলেও তা নিয়ে আক্ষেপ নেই তাঁর। রাহুল মনে করেন, দক্ষিণ আফ্রিকার পিচের থেকে দেশের মাটিতে খেলা কঠিন।
শুক্রবার ম্যাচের পর বিশেষজ্ঞ কেভিন পিটারসেনের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ব্যাট করতে নামার পর আমি নিজেকেই বলছিলাম যে, কী ধরনের শট খেলতে পারি এই পিচে। আমি জানি যে সারা মাঠ জুড়ে শট খেলতে পারি। তাতে কখনও-সখনও উইকেটও খুইয়েছি। তাই আগ্রাসী শট খেলার আগে ভাবতে হয়েছে। টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার পর এটা নিয়ে পরিশ্রম করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে এখানে অনেক পার্থক্য। এখানে অনেক স্পিন খেলতে হয়েছে। ওখানে জোরে বোলারদের দাপট ছিল। আমি জোরে বোলারদের বিরুদ্ধেই খেলতে ভালবাসি। যদিও মন্থর পিচে খেলেই বেড়ে উঠেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় শট খেলা অনেক সহজ ছিল।”
৮৬ রানের ইনিংস খেললেও খুব বেশি সুইপ শট খেলতে দেখা যায়নি রাহুলকে। এ প্রসঙ্গে রাহুল বলেছেন, “আমি সুইপ এবং রিভার্স সুইপ খেলতে ভালবাসি। তবে আক্রমণ এবং রক্ষণের মধ্যে একটা ভারসাম্য থাকতে হবে। এখানে বল সেভাবে ঘুরছিল না বা লাফিয়ে উঠছিল না। যদি মন্থর উইকেট হয় এবং স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারি, তা হলেই শুধু সুইপ খেলব। আজ সুইপ খেলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেই খেলিনি।”
ব্যাট করার সময় নিজের মানসিকতা প্রসঙ্গে রাহুলের উত্তর, “আমরা ইংল্যান্ডের খেলা দেখেছিলাম। এই পিচে সুযোগের অপেক্ষায় থাকলে চলবে না। নিজেকেই সুযোগ তৈরি করতে হবে। বোলারদের লাইন-লেংথ ঘেঁটে ওদের চাপে ফেলতে হবে। সেটাই আমার পরিকল্পনা ছিল। রানের সুযোগ খুঁজছিলাম। ভাল শট খেলার দিকে নজর দিয়েছিলাম। ঝুঁকি নিতেই হত। খুশি যে সেটা কাজে লেগেছে।
নিজের ইনিংস খেলার সময় দ্রুত প্রান্ত বদল করছিলেন রাহুল। জোর দিচ্ছিলেন খুচরো রানের উপরে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমি ব্যাট করতে নেমে যতটা বেশি সম্ভব রান করতে চেয়েছিলাম। ডাগআউটে বসে বাকিদের খেলা খুঁটিয়ে দেখছিলাম। সকালে রোহিতের সঙ্গে কথা হয়েছিল। ও বলল উইকেট বেশ মন্থর। তাই শুরু থেকে রান করার দিকে মন দিলে চলবে না। ক্রিজ়ে থিতু হয়ে তার পর শট খেলার দিকে নজর দিতে হবে। সেটাই করেছি। বাউন্ডারি না পেলেও ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে রান করার চেষ্টা করেছি।”