সুপ্রিম কোর্ট এবং বিভিন্ন হাই কোর্টে নতুন বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিল কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে উচ্চ বিচারবিভাগীয় স্তরে নিয়োগের জন্য ৪৪ জন বিচারপতির নাম পাঠানো হবে।
বিচারপতি নিয়োগে কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্র এবং শীর্ষ আদালতের টানাপড়েন চলছে গত কয়েক মাস ধরেই। এই আবহে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানি শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কউল ও বিচারপতি এএস ওখার বেঞ্চকে জানান হাই কোর্টের কলেজিয়াম বিচারপতি পদে নিয়োগের জন্য ১০৪ জনের নাম সুপারিশ করেছে। এঁদের মধ্যে ৪৪ জনের নামে তিন দিনের মধ্যেই ছাড়পত্র দেওয়া হবে। পরবর্তী ক্ষেত্রেও সময়সীমা মেনে পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি নিয়োগে কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে একাধিক বার প্রশ্ন তোলার পরে কিরেন রিজিজু গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, কলেজিয়ামের সুপারিশের ফাইল নিয়ে দেরি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষারোপ করা চলবে না। বিচারপতিদের কলেজিয়াম যাঁর নাম সুপারিশ করবেন, তাতেই সরকার সিলমোহর দেবে, এটা আশা করা যায় না। কলেজিয়ামের তুলনায় আরও ভাল ব্যবস্থা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দুই বিচারপতির বেঞ্চ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসাবে পদোন্নতির জন্য কলেজিয়ামের সুপারিশ করা পাঁচটি নাম সম্পর্কে প্রশ্ন করলে অ্যাটর্নি জেনারেল কিছু মতের পার্থক্য রয়েছে বলে জানান। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
এর পরেই শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উচ্চ বিচারবিভাগীয় স্তরে বিচারপতি নিয়োগে গয়ংগচ্ছতার অভিযোগ তোলে। বিচারপতি কউল এবং বিচারপতি ওকার বেঞ্চ কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করে বলে, বিচারপতি পদে নিয়োগের জন্য কলেজিয়ামের সুপারিশ করা নামে সম্মতি জানাতে সরকারের তরফে অকারণে দেরি করা হচ্ছে। অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বিচারপতি এমআর শাহ এবং সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, কলেজিয়াম ব্যবস্থা বেলাইন করার কোনও উদ্যোগ বরদাস্ত করা হবে না