সন্দেশখালির ডুগরিপাড়া গ্রামে এক হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সেখানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বাড়ির বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আধিকারিকেরা। ওই হাতুড়ে চিকিৎসক শাহজাহান শেখের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। তবে তিনি এই মুহূর্তে বাড়িতে নেই। শুক্রবার বিকেলে তাঁর বাড়িতে হুড়মুড়িয়ে ঢোকেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। শুরু হয় তল্লাশি।
ডুগরিপাড়া গ্রামের এই বাড়ির মালিকের নাম শফিকুল মোল্লা। তিনি পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক হলেও তাঁর বাড়ির দোতলায় একটি স্কুল চলে। স্কুলটির নাম সরবেড়িয়া ডুগরিপাড়া চাইল্ড অ্যাকাডেমি। এ ছাড়া ওই বাড়ির নীচের তলায় অনেক ভাড়াটে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, তাঁদের কেউ মুর্শিদাবাদ কেউ দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে সন্দেশখালিতে এসেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাইরে থেকে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে। বাড়ির প্রত্যেকের পরিচয়পত্র যাচাই করা হয়। সিবিআইকে দেখে বাড়ির মহিলারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ডুগরিপাড়ার এই বাড়ির একটি ঘরের তালাও ভেঙেছে সিবিআই। সেখানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখের বাড়ির সামনে ইডির উপর হামলার সময়ে এই বাড়ির কেউ উপস্থিত ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে শফিকুল সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন। তাঁর কন্যা বলেন, ‘‘হঠাৎ করে ওঁরা আমাদের বাড়িতে ঢুকে পড়লাম। শফিকুল মোল্লা আমার বাবা। আমি জানি না কেন ওঁরা এসেছেন। বাবা এখন বাড়িতে নেই। শাহজাহানকে এলাকার নেতা হিসাবে চিনি। আমাদের বাড়িতে ওঁর যাতায়াত নেই। ৫ জানুয়ারি আমার বাবা বাড়িতেই ছিলেন। আমাদের কেউ ডাকেনি।’’
এর আগে ডুগরিপাড়া গ্রামের আরও একটি বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই। দিন আলি মোল্লা নামের ওই গ্রামবাসীর ছেলে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইলের খোঁজ করছিলেন গোয়েন্দারা। এর পর ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁরা যান হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে। সিবিআইয়ের অন্য একটি দল সকাল থেকে শাহজাহানের বাড়িতে ছিল। তারাও বিকেলে ডুগরিপাড়ায় চলে এসেছে।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। ওই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত শাহজাহান এখন তাদের হেফাজতে রয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দিনভর শাহজাহানকে জেরা করেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তার পরেই শুক্রে তাদের দল পৌঁছে গিয়েছে সেই শাহজাহানের ডেরায়।