গত দু’মাস ধরে নানা ঘটনায় শোরগোল থাকা উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে এল কেন্দ্রীয় বাহিনী। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে সোমবার থেকে এলাকায় এলাকায় শুরু হল রুট মার্চ।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে ইডির অভিযান এবং আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়া দিয়ে শুরু। তার পর নানা ঘটনায় উত্তপ্ত থেকেছে সন্দেশখালি। গত বৃহস্পতিবার শাহজাহানের গ্রেফতারির পর এলাকা আপাতত শান্তই বলা চলে। যদিও এখনও সন্দেশখালির ১১ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এ বার সেই সমস্ত জায়গায় পা রাখল কেন্দ্রীয় বাহিনী। রবিবার গভীর রাতে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে সন্দেশখালির বেড়মজুরের হাটখোলা এলাকায়। সোমবার সেখান থেকেই শুরু হয় রুট মার্চ। সকালে বেড়মজুর এলাকায় রুটমার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পর রামপুরবাজার হয়ে নৌকা করে নদী পেরিয়ে জেলিয়াখালি দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
বস্তুত, রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসার দিনেই একাধিক জায়গায় রুট মার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রবিবার উত্তর থেকে দক্ষিণের নানা জেলায় টহল দিতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। রুট মার্চে বাহিনীর সঙ্গে রয়েছে পুলিশও। ভোটারদের মনে আস্থা বৃদ্ধি করতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই রুট মার্চ। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম ধাপে রাজ্যে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা ছিল। ওই বাহিনীর অধিকাংশই রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছে। তারা রুট মার্চ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে শহরে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। অবাধ এবং সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যে নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই আগাম কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছে সাত কোম্পানি বাহিনী। জঙ্গলমহলের নানা জায়গাতেও রুট মার্চ করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কয়েকটি গ্রামে পৌঁছে রুট মার্চ শুরু করেছে তারা। হাবড়া-সহ উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি জায়গা, বীরভূমের সিউড়ি এবং খয়রাশোলে রুট মার্চ করছে বাহিনী।
আগামী ৭ মার্চ আরও ৫০ কোম্পানি বাহিনী আসবে রাজ্যে। বাহিনীকে পর্যায়ক্রমে বুথে বুথে টহল দিতে বলা হয়েছে। অতি স্পর্শকাতর এলাকায় একাধিক বার রুট মার্চ করবে বাহিনী।