ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটিকে উদ্ধৃত করে অনেক সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করে দাবি করে ২০২১ সালে ভারতে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাঘের মৃত্যুর রেকর্ড তৈরি হয়েছে। তবে সেই খবর প্রকাশ হতেই বৃহস্পতিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক মিডিয়া রিপোর্টগুলিকে নাকচ করে। মন্ত্রণালয় মিডিয়ার এই খবরকে ‘একমুখী’ বলে অভিহিত করেছে।
মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির ওয়েবসাইটে উপলব্ধ পরিসংখ্যানগুলি প্রতিবেদনগুলিতে ব্যবহার করা হয়েছে। তা প্রশংসনীয়। তবে যেভাবে এই খবরটিকে উপস্থাপন করা হয়েছে তা শঙ্কা সৃষ্টি করে এবং বাঘের মৃত্যুর সাথে মোকাবিলা করার প্রক্রিয়াগুলিকে বিবেচনার মধ্যে আনে না। ভারত সরকারের দীর্ঘস্থায়ী প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক হস্তক্ষেপের ফলে বাঘ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে লাভবান হয়েছে দেশ এবং প্রাকৃতি।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এর আগে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির তথ্য উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়, ২০২১ সালে ভারতে ১২৬টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে৷ ২০১২ সাল থেকে বাঘ মৃত্যু সংক্রান্ত এই তথ্য সংকলিত হচ্ছে। সেই তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে এক বছরে বাঘের মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ ২০২১ সালেই৷ এর আগে ২০১৫ সালে ১২১টি বাঘের মৃত্যু হয়েছিল দেশে৷ তথ্য সংকলন শুরু হওয়ার পর থেকে এতদিন সেটাই ছিল সর্বোচ্চ সংখ্যা৷
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে বাঘের সংখ্যার ৭৫ শতাংশ ভারতে৷ দু’বছর আগে সরকারি তরফে জানানো হয়েছিল যে ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা ২৯৬৭৷ এর আগে ২০০৬ সালে সালে ভারতের বাঘের সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছিল ১১৪১-এ৷ পরিবদেশবিদদের আশঙ্কা, বাঘের এলাকায় মানুষের ‘অনুপ্রবেশ’ সমস্যা তৈরি করেছে৷ অন্যদিকে সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ২২৫ জন মানুষ বাঘের আক্রমণে মারা গিয়েছেন৷