বরাবরাই সময়ের থেকে খানিকটা এগিয়ে থাকে কিছু শিল্পীর ভাবনা। আর সেই শিল্পীদের বরাবরই বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়েছে সিমা গ্যালারি। শুরু থেকে তাতেই মন দেওয়া হয়েছে। ৩০ বছরের উদ্যাপনেও তাঁদের সঙ্গে নিয়েই আগামীর পথে চলার ইঙ্গিত দিল সিমা।
গত ডিসেম্বর মাস থেকেই শুরু হয়েছে গ্যালারির ৩০ বছরের জন্মদিনের উৎসব। দফায় দফায় চলবে। শনিবার সন্ধ্যায় সেই উদ্যাপনের দ্বিতীয় দফার সূচনা হল। চার শিল্পীর কাজ নিয়ে শুরু হল প্রদর্শনী। সব মিলিয়ে ১২ শিল্পীর কাজ দেখানো হবে গ্যালারিতে। তাই প্রদর্শনীর নাম ‘১২ মাসটার্স’। মোট বারো জন শিল্পীর কাজ দেখানো হবে। এই দফায় থাকছে বিকাশ ভট্টাচার্য, জয়া গঙ্গোপাধ্যায়, যোগেন চৌধুরী ও মীরা মুখোপাধ্যায়ের শিল্প।
শনিবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী যোগেন চৌধুরী, জয়া গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিকাশ ভট্টাচার্যের পরিবার। সূচনায় যোগ দেন মুনমুন সেন। আনুষ্ঠানিক সূচনা পর্বে গ্যালারির অধিকর্তা রাখী সরকার বলেন, ‘‘শিল্পী ও শিল্পে উৎসাহীদের আগ্রহেই বড় হয়ে উঠেছে সিমা গ্যালারি। আগামী দিনেও সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলবে সিমা।’’ সব সময়েই শিল্পকাজে বিশেষ ভাবে উৎসাহী অভিনেত্রী মুনমুন। প্রদর্শনীর সূচনালগ্নে তাঁর মনে পড়ে গ্রাম বাংলার মেয়েদের শিল্পমনের কথা। ঘরে ঘরে যে সকল মেয়ে নিজের মতো করে শিল্পকাজ তৈরি করেন, তাঁদের কথা উল্লেখ করেই বাংলার শিল্পকে সম্মান জানান অভিনেত্রী।
৩০ বছর উদ্যাপন উপলক্ষে প্রদর্শনীর প্রথম দফায় শিল্পী গণেশ পাইন, সুষেণ ঘোষ, অর্পিতা সিংহ ও শ্রেয়সী চট্টোপাধ্যায়ের কাজ প্রদর্শন করা হয়েছে। পরের দফায় দেখানো হবে লালুপ্রসাদ সাউ, সোমনাথ হোড়, সর্বরী রায়, সনৎ করের শিল্প। এ ছাড়া, আরও একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে সিমা। নাম ‘ফ্যান্টাস্টিক রিয়্যালিটিস অ্যান্ড বিয়ন্ড এগ্জিবিশন’। ফেব্রুয়ারি মাসে তা প্রথমে দেখানো হবে দিল্লির ভিজ়ুয়াল আর্টস গ্যালারিতে। তার পরে আগামী এপ্রিল মাসে সিমা-এ তা প্রদর্শীত হবে। বারো দশকের শিল্প, ৩৬ জন শিল্পীর কাজের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে তাতে। গত কয়েক দশকে এ দেশে শিল্পের বির্বতন কী ভাবে ঘটেছে, তা-ই ফুটিয়ে তোলা উদ্দেশ্য।
এ দফার প্রদর্শনী চলবে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত। রবিবার ও ছুটির দিন বাদে বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে গ্যালারি। তবে সোমবার গ্যালারি খোলা থাকে বিকেল ৩টে থেকে।