মুখস্ত করে গিয়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে আসা বড় বড় প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর লিখে বড় অঙ্কের নম্বর তোলার দিন এবার শেষ। পরীক্ষার প্যাটার্ন প্রশ্নপত্রের ধরন সম্পূর্ণভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে। সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষার প্যাটার্ন পরিবর্তন করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি এনইপি ২০২০-র অধীনে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে বোর্ড এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার প্যাটার্নে বড় পরিবর্তন করেছে। এই প্রসঙ্গে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের আধিকারিকরা বলেছেন যে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় প্রচুর সংখ্যক দক্ষতা ভিত্তিক প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনে এই ধারণাগুলো কতটা বুঝতে পারছে তা খুঁজে বের করাই এই প্যাটার্ন পরিবর্তনের উদ্দেশ্য।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন- এর জারি করা নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষায় শিশুদের বিশ্লেষণ ক্ষমতা পরীক্ষা করে প্রশ্নের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। মুখস্ত করে উত্তর দেওয়ার মতো জ্ঞানভিত্তিক প্রশ্ন কমানো হয়েছে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এম সি কিউ) কেস স্টাডি ভিত্তিক প্রশ্নের সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে ২০২৪ থেকে ২৫ শিক্ষাবর্ষে পুরনো পরীক্ষার প্যাটার্নের সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্নের সংখ্যা ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।
সিবিএসই তরফে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুসারে বোর্ড স্কুল গুলিতে দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষা বাস্তবায়নের দিকে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে। যার মধ্যে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্যও দক্ষতা ভিত্তিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। একবিংশ শতাব্দী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীল এবং সমালোচনা মূলক পদ্ধতিগত চিন্তাভাবনার বিকাশ যাতে হয় সেই কারণে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।