৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হবে দ্বাদশ শ্রেণীর ফল ঘোষণা হবে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জানাল সিবিএসই (CBSE)। সেইসঙ্গে কিভাবে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন হবে, সেটাও জানানো হয়েছে।
এদিন শীর্ষ আদালতে সিবিএসই-র হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পারফরমেন্সের ভিত্তিতে ঠিক হবে সিবিএসই দ্বাদশের ফল। ৩০ শতাংশ ওয়েটেজ থাকবে দশম শ্রেণির পারফরমেন্সে। ৪০ শতাংশ ওয়েটেজ থাকবে একাদশ ও দ্বাদশের পারফরমেন্সে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এই বছরের সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল হয়ে গিয়েছে। যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে আপাতত সেই পরীক্ষা আয়োজন করার কোনও সুযোগ নেই সিবিএসই-র। এই নিয়ে একটি মামলাও হয় সুপ্রিম কোর্টে। পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্তে শীর্ষ আদালত সহমত হলেও জানতে চায়, ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা স্পষ্ট করে জানানো হোক আদালতে। কারণ, কীসের ভিত্তিতে নম্বরের মূল্যায়ন করা হবে, সেটা নিয়ে রীতিমতো সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল। অবশেষে কেন্দ্রীয় বোর্ডের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দেওয়া হল দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করা হবে পূর্ববর্তী তিনটি ক্লাসের ফলাফল দেখে। অর্থাৎ দশম শ্রেণি, একাদশ শ্রেণি এবং দ্বাদশ শ্রেণির ইউনিট টেস্ট এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় পড়ুয়ারা যে নম্বর পেয়েছেন, তাঁর গড় করে নম্বর দেওয়া হবে দ্বাদশ শ্রেণিতে।
কীভাবে হবে মূল্যায়ন?
১. দশম শ্রেণির ৫টি বিষয়ের মধ্যে সেরা তিনটি বেছে নেওয়া হবে। সেই বেস্ট অফ থ্রি’র গড়ের ভিত্তিতে দেওয়া হবে ৩০ শতাংশ নম্বর।
২. একইভাবে একাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রেও বেস্ট অফ থ্রি বের করে ৩০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে।
৩. দ্বাদশ শ্রেণির ইউনিট টেস্ট, টার্ম পরীক্ষা এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার ফলাফলের গড় বের করা হবে। সেই গড়ের ভিত্তিতে দেওয়া হবে বাকি ৪০ শতাংশ নম্বর।
অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল এদিন আরও জানান, দশমের ক্ষেত্রে ৫টি বিষয়ের মধ্যে সেরা তিনটি বিষয়ের নম্বর নেওয়া হবে। অন্যদিকে, দ্বাদশের ক্ষেত্রে ইউনিট, টার্ম প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার ফলও থাকবে নজরে।
তিনি এও বলেন, কোনও ছাত্র-ছাত্রী নিজের নম্বর বা গ্রেডেশন নিয়ে অখুশি থাকলে, কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বা স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত সময়ে সশরীরে পরীক্ষায় বসে তা শুধরে নিতে পারবে।