আবার শহরের বুকে তল্লাশি অভিযান শুরু করল সিবিআই। সোমবার সকালে নিউটাউন এলাকার একাধিক জায়গায় হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দল। সূত্রের খবর, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কোটি কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় তল্লাশি অভিযানে বেরিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর এ-ও যে, প্রতারণার অঙ্ক প্রায় ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। তবে সোমবার সকালে এক ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। তাঁর বাড়ি দত্তাবাদে রোডে। সকাল ১০টা নাগাদ ওই ব্যাঙ্ককর্মীকে নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা বেরিয়ে যান বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, সকাল ৯টা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বেরোন সিবিআই আধিকারিকেরা। এর পর তাঁরা নিউটাউন এলাকায় পৌঁছন। সেখানে বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেও রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। গত বৃহস্পতিবার সকালে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। কিন্তু তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বিধানসভার অধিবেশনের জন্য কলকাতায় ছিলেন তিনি। এর পর বৃহস্পতিবার বিকেলে টাকা গোনার যন্ত্র নিয়ে জ়াফিকুলের বাড়িতে ঢোকে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর মিলেছিল, বিধায়ক জ়াফিকুলের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে বিধায়কের বাড়ির শৌচাগার থেকে সাত লক্ষ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যের আরও কয়েকটি জায়গায় হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা। তাদের মধ্যে ছিল তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী তথা বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী এবং কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়ি। দেবরাজের দু’টি বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তবে দুপুর ৩টের মধ্যে ওই দু’টি ঠিকানা থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআই। বাপ্পাদিত্যের বাড়ি থেকেও দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ বেরিয়ে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।