সিবিআই গ্রেফতার করতে পারে! আশঙ্কা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ ‘কাকু’, আগাম জামিনের আর্জি

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হতে পারেন। এমন আশঙ্কা করে এ বার আগাম জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করলেন কালীঘাটের ‘কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাঁর আবেদন, হেফাজতে নেওয়ার জন্য সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে। চলতি সপ্তাহে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

গত সোমবার প্রাথমিক নিয়োগ মামলার তদন্তের স্বার্থে ‘কাকু’কে আদালতে হাজির করানোর আবেদন করেছিল সিবিআই। কিন্তু বুকে ব্যথার কারণে মঙ্গলবার সিবিআই বিশেষ আদালতে হাজিরাই দিতে পারেননি তিনি। জেলের তরফে জানানো হয়, ভার্চুয়ালি তিনি হাজির থাকতে পারেন। কিন্তু আদালত জানায়, সিবিআই যে হেতু তাঁকে হেফাজতে চাইছে, তাই সশরীরে আদালতে হাজির করাতে হবে। বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর সুজয়কৃষ্ণকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তার আগেই বুধবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ২০২৩ সালের ৩০ মে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এখন জেলে রয়েছেন তিনি। তাঁকে হেফাজতে চেয়েছে সিবিআই। যদিও মঙ্গলবার সুজয়কৃষ্ণ আদালতে হাজির হতে না-পারায় তাঁকে হেফাজতে পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির হাতে গ্রেফতারির পর দীর্ঘ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মাঝে হাসপাতালে হৃদ্ যন্ত্রের অস্ত্রোপচারও হয়েছিল তাঁর। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়েও টানাপড়েন হয়। এর পর চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি আচমকাই জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার পর ফের এসএসকেএমে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে। এ বার তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চাইছে সিবিআই। তার মধ্যেই হাই কোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করলেন সুজয়কৃষ্ণ।

ইডির মামলায় এর আগেই জামিন চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে ওই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। রায় ঘোষণা স্থগিত রয়েছে। তারই মধ্যে নতুন মামলায় স্বস্তি পেতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.