সকাল ৮টা ৬ মিনিটে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। তার পর থেকে টানা ১২ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের ম্যারাথন তল্লাশির পরে সিবিআই গোয়েন্দারা সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়ি থেকে বেরোলেন রাত ৮টা ৪৬ মিনিটে। সূত্রের খবর, সন্দীপের বাড়ি থেকে বহু নথিপত্র নিয়ে ফিরেছেন তাঁরা।
আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। সেই মামলার সূ্ত্রেই রবিবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ বেলেঘাটায় সন্দীপের বাড়ির সামনে পৌঁছে যায় সিবিআই। তাদের দলে ছিলেন এক মহিলা আধিকারিক-সহ সাত জন। তবে তখনই তাঁরা বাড়িতে ঢুকতে পারেননি। টানা ৭৫ মিনিট বাড়ির গেটের সামনেই অপেক্ষা করতে হয় সিবিআই আধিকারিকদের। বেল বাজিয়ে, দরজায় শব্দ করে ডাকাডাকি করেও ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। এমনকি, ফোন করলেও তার উত্তর দেননি সন্দীপ। এই পরিস্থিতিতে যখন সিবিআইয়ের আধিকারিকদের কয়েক জন প্রতিনিধি বেলেঘাটা থানায় গিয়ে আলোচনা করছেন, সন্দীপ দরজা না খুললে কী করা হতে পারে, সেই সময়েই সন্দীপের বাড়ির দরজা খোলে। ঠিক সকাল ৮টা বেজে ৬ মিনিটে দরজা খুলে বাইরে আসেন সন্দীপ। তারপরে কিছু কথা বলে সিবিআইয়ের জন্য দরজা খুলে দেন।
সেই সময় থেকে সিবিআই তল্লাশি চলছিল সন্দীপের বাড়িতে। সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা এ ভাবেই তল্লাশির পরে বাইরে থেকে সিবিআইয়ের আরও একটি দল সন্দীপের বাড়ির ভিতরে ঢোকে। এই দলে ছিলেন ছ’জন সদস্য। কিছু ক্ষণ পরে যাঁরা ভিতরে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে তিন জন একটি ব্যাগ হাতে বেরিয়ে আসেন। সূত্র মারফত জানা যায়, সন্দীপের বাড়ি থেকে ওই ব্যাগ নিয়ে সিবিআই গোয়েন্দারা সরাসরি কলকাতায় সিবিআইয়ের সদর দফতর নিজাম প্যালেসেই গিয়েছেন।
তল্লাশির মধ্যে আচমকাই সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে সিবিআই গোয়েন্দাদের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ায় শুরু হয় জল্পনা। কিন্তু তারপরে সেখানে আর কোনও পরিবর্তন নজরে পড়েনি। এর পর থেকে যত সময় গড়াচ্ছিল, ততই বাড়ছিল জল্পনা। অবশেষে রাত পৌনে ন’টা নাগাদ সন্দীপের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেখান থেকে বহু নথিপত্র নিয়ে ফিরেছে তারা।