১ / ২০
শুধু সংগ্রহশালাতেই নয়, দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে ঘুরতে গেলে রাস্তার মাঝে চোখে পড়ে কিছু অভাবনীয় মূর্তি। পাথর কেটে যে সব মূর্তি গড়েছেন কারিগরেরা। কেউ কেউ মজার ছলে, নিজেদের রসবোধ ফুটিয়ে তোলার জন্য এই মূর্তির সঙ্গে বিভিন্ন পোজে ছবিও তোলেন। নীচে এই ধরনের কয়েকটি ছবি দেওয়া হল।
২ / ২০
পাশের ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি বাচ্চার মূর্তি। মূর্তিটির হাতের ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে সে হাতে তির-ধনুক ধরেছিল। মূর্তির নীচে ব্যক্তিটি এমন ভাবে শুয়ে পড়েছেন যে এক ঝলকে দেখলে মনে হয়, বাচ্চাটি তাঁকে মাটিতে ফেলে মারছে।
৩ / ২০
এই মূর্তিটি দেখলে বোঝা যায়, এক খেলোয়াড়ের হাতে ব্যাট ধরানো। কিন্তু মহিলাটি এমন পোজ দিয়েছেন যা দেখে মনে হচ্ছে তিনি জরুরি কাগজপত্র নিয়ে অফিসের কাজে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ পিছন থেকে তাঁকে ব্যাট দিয়ে আঘাত করায় তাঁর যেন পড়ে যাওয়ার উপক্রম। আসলে, মূর্তির সঙ্গে ছবি তোলার সময় তিনি উপরের দিকে লাফিয়ে উঠে কাগজপত্রগুলিও শূন্যে ছুড়ে দেন।
৪ / ২০
এমন অনেক ব্যক্তির মূর্তি তৈরি করা হয়, যার হাত পিছনে মোড়ানো অবস্থায় থাকে। সাধারণত, এই মূর্তিগুলির সামনে দাঁড়িয়ে লোকজন ছবি তোলেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঘটল উল্টোটাই। মূর্তির পিছন দিকে দাঁড়িয়ে লোকটি। তাঁর হাতে টাকা। এমন ভাবে মূর্তির আঙুলের ফাঁকে ঢুকিয়ে রেখেছেন, দেখে মনে হচ্ছে যেন মূর্তিরূপী ব্যক্তিটিকে ঘুষ দেওয়া হচ্ছে।
৫ / ২০
পাশের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক জন মহিলা কোনও এক বাদ্যযন্ত্র বাজাতে বাজাতে হেঁটে যাচ্ছেন। তাঁর পিছনে ছ’টি বাচ্চা। আসলে, ছ’টির মধ্যে পাঁচটিই পাথরের মূর্তি। দু’টি বাচ্চার মূর্তির মধ্যে কিছুটা দূরত্ব থাকায় মাঝের জায়গাটিতে গোলাপি জামা পরা বাচ্চাটি দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছে।
৬ / ২০
এই পাথরের মূর্তিটি এমন ধাঁচে বানানো হয়েছে,যেখানে লোকটির একটি হাত বুকের সামান্য নীচের দিকে এবং অন্য হাতটি মাথার পিছনে রাখা। এই মূর্তির হাতের ভাঁজে কেউ মজা করে রেজর ব্লেড রেখে দিয়েছেন।
৭ / ২০
পাশের ছবিতে দেখা যাচ্ছে মিউজিয়ামে রাখা একটি সাদা পাথরের মূর্তি। হাত সোজা করে ঘাড় বেঁকিয়ে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন, এই ভঙ্গিতে মূর্তিটি বানানো হয়েছে। মিউজিয়াম ঘুরতে গিয়েই দুই মহিলার চোখে পড়ে মূর্তিটি। তাঁরা মূর্তির ধাঁচ নকল করে এমন ভাবে ছবি তোলেন, যেন এটি নাচের কোনও বিশেষ ভঙ্গিমা।
৮ / ২০
পথেঘাটে বহু লোককে সাইকেলে যাতায়াত করতে দেখা যায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাইকেলে বসে থাকা ব্যক্তি নিজের খেয়ালে এমন ভাবে হাত ছড়িয়েছেন যে, তা পিছন থেকে আসা ব্যক্তির মুখে যেন আঘাত করেছে। আসলে সাইকেলচালকের মূর্তিটি পাথরের তৈরি। পিছনের লোকটি মজা করেই এমন পোজ দিয়েছেন।
৯ / ২০
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, মিউজিয়ামের ঘর জুড়ে মূর্তি। কোনও মূর্তি দাঁড়ানো অবস্থায় তো কোনও মূর্তি বসানো অবস্থায় রয়েছে। বসে থাকা একটি মূর্তির হাতে কেউ মোবাইল ফোন রেখে দিয়েছেন যা দেখলে মনে হবে, মূর্তিটি যেন নিজেই নিজের ছবি তুলছে।
১০ / ২০
পাশের ছবিটি দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, দুই ব্যক্তি তাঁদের নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে যাওয়ার আগে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছেন, তাঁদের ঠিক পাশেই একটি স্যুটকেস রাখা। তাঁদেরই কারও বাক্স এটি। ছবিতে থাকা তৃতীয় ব্যক্তিটি এমন ভাবে পোজ দিয়েছেন যে এক নজরে দেখলে মনে হবে, তিনি স্যুটকেসটি চুরি করে পালাচ্ছেন।
১১ / ২০
পাশের ছবিতে পাথরের মূর্তিটি লক্ষ করলে দেখা যায়, এক মহিলা একটি বাচ্চা মেয়ের হাত ধরে ঘোরাচ্ছেন। কালো টি-শার্ট পরা ব্যক্তিটি সেই পাথরের মূর্তির ধারে এমন ভাবে উঠে দাঁড়িয়েছেন যে দেখলে মনে হবে, তিনি এবং মূর্তির মহিলাটি দু’দিক থেকে বাচ্চাটির হাত-পা ধরে টানাটানি করছেন।
১২ / ২০
ছবিটিতে তিনটি মূর্তিকে একসঙ্গে একটি লোহার পাত পেটাতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু লোকটি এমন ভাবে ফাঁকের মধ্যে গলে গিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েছেন যে দেখে মনে হচ্ছে, লোহার পাত নয়, বরং লোকটিকেই তিন জন মিলে মারছে।
১৩ / ২০
মিউজিয়াম ঘুরতে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছেন? মানচিত্র দেখেও খুঁজে পাচ্ছেন না? তা হলে ভরসা একটাই। আশপাশে কেউ থাকলে তাঁর কাছে সাহায্য নিন। কেউ না কেউ সঠিক পথের হদিস দিয়ে দেবেন। এই ছবিতেও পাথরের মূর্তির সঙ্গে এরকমই পোজ দেওয়া হয়েছে। মহিলাটি মানচিত্রে জায়গাটি দেখাচ্ছেন এবং পাথরের মূর্তিটির হাত এমন দিকে রয়েছে যা দেখে মনে হচ্ছে তিনি সঠিক পথের নির্দেশ দিচ্ছেন।
১৪ / ২০
অনেক সময় সমুদ্রসৈকতের ধারে বসার বে়ঞ্চে বিভিন্ন পাথরের মূর্তি লক্ষ করা যায়। পর্যটকেরা অনেক সময় এই মূর্তিগুলির পাশে বসে ছবিও তোলেন। পাশের ছবিটিও বেশ মজাদার। যে লোকটির ছবি তোলা হয়েছে তাঁকে দেখে মনে হচ্ছে, তিনি পাশে বসা মহিলাটির রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করছেন।কিন্তু মহিলাটি কিছুতেই তাঁর কথা শুনতে রাজি হচ্ছেন না।
১৫ / ২০
পাশের ছবিটি দেখলে লক্ষ করা যায়, একটি লোক রাস্তার মধ্যে দিয়ে আর একটি লোকের পা ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছেন। যে লোকটিকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যাচ্ছে, সেটি আসলে একটি পাথরের মূর্তি। রাস্তায় শুয়ে থাকা লোকটি মজা করেই এমন ভঙ্গিমায় শুয়ে আছেন যা দেখে মনে হবে, তাঁর পা ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
১৬ / ২০
‘ম্যাকডোনাল্ডস’-এর দোকানের সামনে হলুদ রঙের মূর্তিটি সকলেরই চোখে পড়ে। একটি দোকানের সামনে দেখা যায়, হলুদ মূর্তিটি দুই হাত তুলে নাচের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু সামনের ব্যক্তিটি এমন ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন যা দেখলে মনে হয়, মূর্তিটি জীবন্ত। সামনে দাঁড়িয়ে লোকটিকে যেন মারতে যাচ্ছে সে।
১৭ / ২০
এই ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে যেন রাস্তার কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাক্তিটি পুলিশকে ঘটনার বিবৃতি দিচ্ছেন। ফুটপাতে যে দু’জন হাত পিছন দিকে করে শুয়ে রয়েছেন, তাঁরাও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এই ছবিতে যে পুলিশকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তা আসলে পাথরের মূর্তি। বাকি তিন জন পোজ দিয়ে এই ছবি তুলেছেন।
১৮ / ২০
ফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতে বিশেষ কিছু চোখে পড়লে পাশে বসে থাকা বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের তা দেখান কমবেশি সকলেই। সেই মুহূর্তের কথা মাথায় রেখেই বেঞ্চে বসে থাকা পাথরের মূর্তির সঙ্গে ছবি তোলেন এই ব্যক্তি। একঝলকে দেখলে মনে হয়, তিনি পাশে বসে থাকা ব্যক্তিকে তাঁর ফোনে কিছু দেখাচ্ছেন এবং সেই ব্যক্তিটি তা মন দিয়ে দেখছেন।
১৯ / ২০
সকালে স্কুল-কলেজ-অফিস যাওয়ার তাড়া সকলেরই থাকে। রাস্তায় চলাচলের সময় প্রায়ই ধাক্কা লেগে যায় পথচারীদের সঙ্গে। কালো পাথরের মূর্তিগুলিও এই ধাঁচেই বানানো। কিন্তু নীল টি-শার্ট পরা ছেলেটি মূর্তি দু’টির উপর উঠে এমন ভাবে পোজ দিয়েছে, তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে যেন এক ব্যক্তির ঘাড়ে উঠে দ্বিতীয় ব্যক্তিটির মুখে মারছে।
২০ / ২০
পাছে অন্য কেউ শুনে ফেলে, সেই ভয়ে লোকে কানে কানে গোপন কথা বলে। মিউজিয়ামে এমন একটি মূর্তি রয়েছে যেখানে একটি মহিলা কানে হাত দিয়ে রয়েছেন। এই মূর্তির সঙ্গেই ছবি তোলেন এক ব্যক্তি। মূর্তির কানের কাছে গিয়ে এমন মুখভঙ্গিমা করে ছবি তোলেন যে দেখে মনে হচ্ছে, তিনি মহিলাটির কানে কানে কিছু বলছেন।