১৯৯১-৯২ বিশ্বকাপে জন্টি রোডসের একটি ক্যাচ দেখে চমকে গিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। তার পর ক্রিকেটপ্রেমীরা অসংখ্য দুর্দান্ত ক্যাচ দেখেছিলেন। তবে নিউ জ়িল্যান্ডের ট্রয় জনসন এবং নিক কেলি যৌথ প্রচেষ্টার ক্যাচ কার্যত বাক্রুদ্ধ করে দিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকে।
শনিবার নিউ জ়িল্যান্ডের সুপার স্ম্যাশের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েলিংটন এবং সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট। নিউ জ়িল্যান্ডের তরুণ ব্যাটার এবং সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের ওপেনার উইল ইয়ং লং অনে তুলে একটি শট মারেন। মিড অনের ফিল্ডার কেলি দৌড় শুরু করেন বল লক্ষ্য করে। মাঠে উপস্থিত সকলেই ধরে নিয়েছিলেন ছয় না হলেও চার হবেই। কিন্তু কেলির অবিশ্বাস্য ফিল্ডিং ইয়ংকে সাজঘরে ফিরতে বাধ্য করল।
ইয়ং শট মারার পরেই বল লক্ষ্য করে বাউন্ডারির দিকে ছুটতে শুরু করেন। ঠিক বাউন্ডারির লাইনের আগে মরিয়া ঝাঁপ দিয়ে অবিশ্বাস্য ভাবে বল তালুবন্দি করেন তিনি। কিন্তু নিজের গতি সামলানো সহজ ছিল না সে সময়। বাউন্ডারি লাইনের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছেন দেখে ওই অবস্থাতেই অত্যন্ত দ্রুত বল ছুড়ে দেন মাঠের ভিতর। তত ক্ষণে লং অফ থেকে কেলির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন ওয়েলিংটন অধিনায়ক জনসন। কেলির ছুড়ে দেওয়া বল তিনি ধরে নেন। এই গোটা পর্বে বল কখনও মাটি স্পর্শ করেনি। দু’জনের কেউই বলের নিয়ন্ত্রণ হারাননি। বার বার রিপ্লে দেখে আম্পায়ারেরাও নিশ্চিত হন ইয়ং আউট হয়েছেন। ম্যাচের ৬ ওভারের এই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
ক্রিকেট বিশ্বে আলোচনা শুরু হয়েছে কেলি এবং জনসনের যৌথ প্রচেষ্টায় ধরা এই ক্যাচ নিয়ে। তাঁদের ফিল্ডিং দক্ষতার প্রশংসা করেছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ এবং ক্রিকেটপ্রেমীরা। অনেকে বলছেন অবিশ্বাস্য এই ক্যাচই সর্বকালের সেরা কি না, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। শনিবারের ম্যাচও জিতে নিয়েছে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট। ২০ ওভারে ওয়েলিংটনের ৮ উইকেটে ১৪৭ রানের জবাবে ১৬.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৮ রান করে তারা।