আসানসোল-ওয়ারাঙ্গলের মধ্যে রেল করিডর তৈরির প্রস্তাবে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। শুধু তা-ই নয়, এই প্রকল্পের অধীনে দেশে আটটি নতুন লাইন তৈরির বিষয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছিল।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল থেকে তেলাঙ্গনার ওয়ারাঙ্গলের মধ্যে এই রেল করিডর ব্যবহার করা হবে কয়লা নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহার হবে। এ ছাড়াও যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল করবে এই করিডরের মাধ্যমে। গুনপুর-থেরুবালির মধ্যে নতুন লাইন চালু হবে। লাইনটি জুনাগড়-নবরংপুর এবং মালকানগিরি-পান্ডুরংপুরমের উপর দিয়ে যাবে। অশ্বিনী দাবি করেছেন, পূর্ব উপকূলের বন্দরগুলির সঙ্গে যোগাযোগ তৈরির ক্ষেত্রের বড় ভূমিকা নেবে এই নতুন করিডর। এই সব বন্দরগুলি থেকে পণ্য বিশেষত কয়লা পরিবহণে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং ওড়িশাও উপকৃত হবে এই নয়া করিডর থেকে। ৫০০-৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডর তৈরির জন্য ৭৩৮৩ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।
কোথায় কোথায় নতুন আটটি লাইন তৈরি হবে তা-ও জানিয়েছেন অশ্বিনী। গুনপুর-থেরুবালির মধ্যে ৭৩.৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন তৈরি হবে। জুনাগড়-নবরংপুরের মধ্যে ১১৬.২১ কিলোমিটার, মালকানগিরি-পান্ডুরংপুরমের মধ্যে ১৭৩.৬১ কিলোমিটার, বাদামপাহাড়-কেন্দুঝারগড়ের মধ্যে ৮২.০৬ কিলোমিটার, জালনা-জলগাঁওয়ের মধ্যে ১৭৪ কিলোমিটার, বুরমুরা-চাকুলিয়ার মধ্যে প্রায় ৬০ কিলোমিটার এবং বাংরিপোসি-গরুমহিসানির মধ্যে ৮৫.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই করিডর তৈরি হলে তা বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে দাবি রেলমন্ত্রীর। পণ্য পরিবহণ তো বটেই, তা ছাড়াও পর্যটন, কর্মসংস্থান এবং আর্থিক দিক থেকেও এই করিডর অন্যতম প্রধান পথ হবে।