দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। তাই সব রাজনৈতিক দলই এখন নিজেদের রণনীতি সাজাতে শুরু করেছে। তারই মধ্যে আবারও একবার সিএএ ইস্যু উস্কে দিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মাত্র ২৩ মিনিটের ঝাঁঝালো বক্তব্যের মধ্যে স্পষ্ট করে দিলেন সিএএ লাগু কোনভাবেই রোখা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে জানিয়ে গেলেন, বাংলা দখলে বিজেপি এবার এক চুল জমিও ছাড়বে না।
ধর্মতলার প্রতিবাদ সভাতে দাঁড়িয়ে শাহ বলেন, আটকানোর ক্ষমতা কারোর নেই। এটা দেশের আইন, একে কেউ রুখতে পারবে না। সব হিন্দু ভাই বোনের দেশের উপর অধিকার রয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, রাজ্যে অনুপ্রবেশে উস্কানি দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, আর সেই জন্যই সিএএ কার্যকর করতে চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এটা দিল্লির আইন চেষ্টা করলেও বাংলার শাসক দল রুখতে পারবেন না।
বাংলার অনুপ্রবেশকারী সমস্যা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অসমের বিজেপি সরকারের কথা টেনে আনেন। বুধবারের সভা থেকে শাহ অনুপ্রবেশের ষড়যন্ত্রে তৃণমূল যুক্ত বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “বাংলায় বেলাগাম অনুপ্রবেশ চলছে। অসমে বিজেপি সরকার রয়েছে, সেখানে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর বাংলায় কী হচ্ছে? সমাজ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে যারা আসছে তাদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড করে দেওয়া হবে। কিন্তু রাজ্য পুলিশ চুপ করে বসে আছে।”
আজ ধর্মতলা থেকে সিএএ লাগু নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিএএ লাগু হলে বাংলাদেশ থেকে এপারে আসা কোনো হিন্দুর কোনো সমস্যা হবে না। এই মাটিতে আপনার আমার যতটা অধিকার তাদেরও ততটাই অধিকার।”
প্রসঙ্গত, মতুয়া অঞ্চলে গত লোকসভা ভোটে সিএএ ছিল মূল ইস্যু। কিন্তু সেই আইন বলবৎ না হবার কারণে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বনগাঁ, রানাঘাট এলাকায়। ফলে সেই ক্ষোভ প্রশমণে আজকের অমিত শাহের বক্তব্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সহায়ক বলে মনে করা হচ্ছে।