মহারাষ্ট্রের গঢ়চিরৌলিতে মাওবাদী ডেরায় হানা ‘সি-৬০’ কমান্ডোদের, নিহত দুই মহিলা-সহ তিন

লোকসভা ভোটপর্বের মধ্যে আবার নিরাপত্তা বাহিনী-মাওবাদী সংঘর্ষে রক্ত ঝরল। ছত্তীসগঢ়ের পরে এ বার মহারাষ্ট্র। সোমবার মহারাষ্ট্রের গঢ়চিরৌলি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই মহিলা-সহ তিন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্র পুলিশের দাবি, নিহতেরা নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র সহযোগী পেরিমিলি দলমের সক্রিয় সদস্য।

সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ভামরাগড় তালুকের কাটরাঙ্গাট্টা গ্রামের অদূরের জঙ্গলে নকশালপন্থী যোদ্ধাদের শিবিরে মহারাষ্ট্র পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনী, সি-৬০-এর কমান্ডো এবং জেলা পলিশের বাহিনী মিলে অভিযান চালিয়েছিল বলে গঢ়চিরৌলির পুলিশ সুপার নীলোৎপল সোমবার জানান। তিনি বলেন, ‘‘গত মার্চ থেকে নকশাল বাহিনী তাদের সাংগঠনিক জোর বাড়াতে ‘ট্যাকটিক্যাল কাউন্টার অফেন্সিভ ক্যাম্পেন’ (টিসিওসি) শুরু করেছে। আমরাও তার জবাবে নকশাল উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ধারাবাহিক ভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।’’

নিহত মাওবাদীদের মধ্যে এক জনকে পেরিমিলি দলমের কমান্ডার বাসু বলে শনাক্ত করা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন নীলোৎপল। তিনি বলেন, ‘‘ঘন জঙ্গলে অনুসন্ধান চালালোর সময় আমাদের জওয়ানদের নিশানা করে নকশালপন্থীরা গুলি চালাতে শুরু করে। আমরাও পাল্টা জবাব দিই। গুলিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে নিহত তিন জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে একটি একে-৪৭, একটি ইনসাস রাইফেল, একটি কার্বাইন এবং কার্তুজ উদ্ধার হয়। সেই সঙ্গে মিলেছে নকশালপন্থীদের অনেক প্রচার পুস্তিকাও।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালেও লোকসভা নির্বাচনের সময় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল মাওবাদীরা। সে বছরের মে মাসে হামলা চালিয়ে সাত জন সি-৬০ কমান্ডোকে তারা খুন করেছিল।

চলতি বছরের মার্চ মাসে গঢ়চিরৌলি সীমানার জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে চার জন মাওবাদী কমান্ডারকে মেরেছিল ছত্তীসগঢ় পুলিশ এবং সিআরপিএফের যৌথবাহিনী। এর পর এপ্রিলে প্রথম দফার ভোটের আগে কাঁকেরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ২৯ জন মাওবাদী গেরিলার মৃত্যু হয়েছিল। উদ্ধার হয়েছিল বিপুল অস্ত্রশস্ত্র। এপ্রিলেই যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে দুই এবং নারায়ণপুরে সাত জন মাওবাদী নিহত হয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.