বাইরন মিরজাফর! রাজ্যের মানুষ আবারও বুঝতে পারলেন তৃণমূলের বিকল্প একমাত্র বিজেপি, দাবি সুকান্তর

বাইরন বিশ্বাসকে মিরজাফরের তকমা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, তিনি আগেই বলে দিয়েছিলেন বাইরন তৃণমূলে চলে যাবে। তার আরও দাবি, বাংলার মানুষ বুঝতে পারলেন রাজ্যে তৃণমূলের বিকল্প একমাত্র বিজেপি।

বাইরনের দল বদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যাওয়ার প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি আমার ভাষণে আগেই বলেছিলাম বাইরন বিশ্বাস মিরজাফর। যদি জেতে তাহলে ক’দিনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসে যাবে, সেটা আমাদের অধীর দাও বলতে পারবেন না। তাই হলো। বাইরন বিশ্বাস এখন মীরজাফর বিশ্বাস হয়ে গেল।” একই সঙ্গে তার দাবি, বাংলার মানুষ আরো একবার বুঝতে পারলেন এই রাজ্যের তৃণমূলের বিকল্প যদি কেউ থাকে তা একমাত্র বিজেপি। বিজেপিকে বাদ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বিকল্প হতে পারে না।” কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “সিপিএম, কংগ্রেস এরা দিল্লিতে তৃণমূলের সাথে একসাথে বসে চা খায়। হাতে হাত ধরে দিল্লিতে। এদের একটাই উদ্দেশ্য মোদী হটাও। এদের কোনও নীতি নেই।”

প্রসঙ্গত,সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে জেতার তিন মাসের মধ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বায়রন বিশ্বাস। সোমবার দলে সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন বাইরন। ঘাটালে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে দলে যোগ দেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক। দলে যোগ দিয়ে বায়রন বলেন, তাঁর জেতার পেছনে কংগ্রেসের কোনও হাত নেই। আর দলবদল নিয়ে অভিষেক বলেন, “তাঁর জয়ের পরই বায়রনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছিল। জনসংযোগ যাত্রাতেও আমাদের কথা হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই ছড়িয়ে দিতে বায়রন দলে যোগ দিলেন। তাকে আমি স্বাগত জানিয়েছি। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সৈনিক হিসেবে জোর গলায় লড়াই করবেন বাইরন।

অন্যদিকে, তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে বায়রন বলেন, রাজ্যের উন্নয়নের কর্মকাণ্ড চলছে তা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে এই পদক্ষেপ করেছি। আমি তৃণমূলের টিকিটের দাঁড়াতে চাইলেও না পেয়ে কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কারো সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। আমার জয়ে কংগ্রেসের কোনও ভূমিকা ছিল না। আগামী দিনে ভোটে দাঁড়ালে আরো বেশি ভোটে জিতব আমি।

অধীর চৌধুরী আক্রমণ করে বলেছেন , মানুষের রায় ছিল বাইরণ বিশ্বাস কংগ্রেস প্রার্থীকে। দিদি ও খোকাবাবু মানুষের রায়কে পদাঘাত করল। তাদের একাধিক মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে পরাজয় তারা মেনে নিতে পারেননি। বারবার বায়রনকে টেনে আনার চেষ্টা চলছিল। পরাজয় ওরা মেনে নিতে পারেনি। মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। বায়রনকে দলে ফিরিয়ে আনতে একাধিকবার চেষ্টাও হয়েছে। তবে আগামী দিনে কংগ্রেস তৃণমূলের থেকে ও বায়রনের থেকেও ভালো প্রার্থী তুলে আনবে সাগরদিঘিতে।

তবে বাইরণের এই দলবদলের কারণে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস-সিপিএম এর জোট যে বড়সড় ধাক্কা খেলো সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.