বিদায় নেওয়ার মুখে আবার ‘কামব্যাক’ করল শীত। দিন কয়েক আগেই রাজ্য থেকে ‘উধাও’ হয়েছিল ঠান্ডা। তাপমাত্রার পারদ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। গায়ে শীতপোশাক চাপিয়ে রাখা দায় হয়েছিল। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যেই বদলাল রাজ্যের আবহাওয়া পরিস্থিতি। শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করল হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস শনিবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং দুই বর্ধমানে শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে। কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় কাঁপতে পারে এই জেলাগুলির মানুষ। পুরুলিয়া জেলায় রবিবারও শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি পারদ পতন হয়েছে কলকাতাতেও। আলিপুরের হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই সপ্তাহের শুরুতে যেখানে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রির উপরে উঠে গিয়েছিল, সেখানে সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা নেমেছে ১৪.৬ ডিগ্রিতে। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। আগামী তিন দিন কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে একই রকম ঠান্ডা থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। অর্থাৎ, শেষ লগ্নেও স্বমহিমায় থাকছে শীত। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও কয়েক দিন শীত জাঁকিয়েই পড়বে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা। আবহবিদদের একাংশ মনে করছেন, এই সময় এমন তাপমাত্রা থাকা প্রায় অস্বাভাবিক। মূলত উত্তুরে হাওয়ার দাক্ষিণ্যেই আবহাওয়ার এই ভোলবদল বলে মত তাঁদের।
তবে আবহবিদরা এ-ও জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের গোড়া থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়বে। আগামী সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই বৃষ্টির জেরে সাময়িক ভাবে শীতল আবহাওয়া ফিরলেও কনকনে শীত আর ফিরবে না। সে ক্ষেত্রে মাঘ মাসের সঙ্গে এই মরসুমের জন্য পাকাপাকি ভাবে বিদায় নেবে শীত। আসবে বসন্ত।
শনিবার কলকাতার আকাশ মোটের উপর পরিষ্কার এবং মেঘমুক্ত থাকবে। সকালের দিকে সামান্য কুয়াশা থাকতে পারে কোথাও কোথাও। গোটা রাজ্যেই মোটের উপর শুকনো আবহাওয়া থাকবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে সকালের দিকে কুয়াশা থাকতে পারে।