বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছেন রেলমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে মমতার রেল কবচ তত্ত্ব খারিজ করেছে রেল। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, সিবিআই তদন্ত হলে সত্য ঘটনা জানা যাবে। একই সঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেন, ওনারা রেলকে শুধু লুটেছেন। নিজেদের লোকেদের চাকরি দিয়েছেন। ওদের বড় বড় কথা বলা সাজে না।
সোমবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, রেল দুর্ঘটনায় অনেক রকম প্রশ্ন উঠছে, এত বড় ঘটনা হয়েছে তার কারণটা কি? অনেক কিছু হতে পারে। পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন লোক বিভিন্ন রকম কথা বলছে। স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের ঘটনা আগামী দিনে না হোক তার জন্য সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সেই জন্য সিবিআই তদন্ত হলে সব তথ্য সামনে আসবে। সরকার চেয়েছে সিবিআই তদন্ত হয়ে সত্য সামনে আসুক।
এরপরেই তৃণমূল নেত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মমতা ব্যানার্জি কি করেছেন আমরা জানি। তার সময় প্রায় সাড়ে পাঁচশোর মত অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। সাড়ে আটশো রেল লাইনচ্যুত হয়েছে, ১৪০০ এর মতো লোক মারা গেছে। আজকে তিনি বড় বড় কথা বলছেন। তখন কেন লাগাননি কবজ? তখন কেন আধুনিকীকরণ করেননি? রেলের তাহলে এই সমস্যা হতো না। তখন রেলকে আটকে রেখেছিলেন, ভাড়া বাড়তে দেবেন না সুবিধা দেবেন না।”
তিনি মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, “তার মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী অনেক কিছু পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন তাকেই পাল্টে দিলেন উনি। রেল বাজেট পেশ করে আলোচনা করতেই পারলে না। তার আবার বড় বড় কথা বলছেন। রেলকে লুটেছেন ওনারা। নিজের লোকদের চাকরি দিয়েছেন সব। সব থেকে বড় ঘোটালা রেলে হয়েছে। তখন থেকে দুর্নীতি করতে শিখেছেন রেল থেকে। আজকে রেলের দুর্দশা কেন? কেন মোদীজিকে এত কষ্ট করতে হচ্ছে? যারা কিছুই করেনি লুট করেছেন, তাদের বড় বড় কথা বলা সাজে না। সরকার কাজ করছে, গত ৯ বছরের মধ্যে কটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে? তার আশ্বাস, অ্যাক্সিডেন্ট কমেছে। অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে, এত লোকের জীবনহানি হয়েছে সরকার সমস্ত সত্য খুঁজে বার করবে।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যার গ্রেফতার হওয়ার কথা, পদত্যাগ করার কথা, সে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করছে। সবুজ পতাকা হাতে উদ্বোধন করে কৃতিত্ব নিলে মৃত্যুর দায়ও নিতে হবে রেলমন্ত্রীকে। অভিষেকের এই মন্তব্যের পাল্টা দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরদিন পদত্যাগের নাটক করেছেন। কোনো দায়িত্ব নেননি। কোনো কাজ পুরো করেননি। যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ওনার যোগ্যতা বোঝা গেছে। আর ভাইপো জীবনে কি করেছেন তিনি সমালোচনা করে দায়িত্ব শেষ করছেন পদত্যাগ চাইছেন। পদত্যাগ নয়, পদে থেকে কাজ করে দেখানোটাই হচ্ছে পৌরুষ যেটা ওনাদের মধ্যে নেই।”