জমি বিবাদের জেরে এক মহিলাকে মারধর করে তাঁর গায়ে কম্বল এবং কাপড় জড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। মহিলার স্বামীকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। নদিয়ার রানাঘাটের পায়রাডাঙা বেলঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক তাঁর স্বামীও। এ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মারধরের ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাতে। সম্পত্তি সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রতিবেশীদের মধ্যে একটি অশান্তির ঘটনা ঘটে। তাতে একটি বাড়ি পুড়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অঞ্জলি কর্মকার নামে এক মহিলার। তাঁর স্বামী সুবল কর্মকারও গুরুতর আহত অবস্থায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরে ওই দম্পতির সঙ্গে প্রতিবেশী বেশ কয়েক জনের মনোমালিন্য চলছিল। বাচ্চাদের খেলাধুলোকে কেন্দ্র করে আবার গন্ডগোল শুরু হয়। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় অঞ্জলির বাড়িতে চড়াও হন অভিযুক্তেরা। ওই দলে মহিলারাও ছিলেন। দম্পতিকে মারধর করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “প্রথমে ওদের ধরে মারধর করা হয়েছিল। নিজেকে বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন মহিলা। তখন তাঁর গায়ে কম্বল ইত্যাদি চাপিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মহিলার স্বামীকেও পিছমোড়া করে বেঁধে রাখা হয়। পুলিশ যত ক্ষণে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে, তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে মহিলার।’’
সোমবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ওই লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, ‘‘এর আগেও ওকে মারধর করা হয়েছে। তখন ওই মহিলা রানাঘাট থানায় অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু সে সময় পুলিশ হুমকি দিয়ে ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ওই অফিসারদের সাসপেন্ড করতে হবে।’’ অন্য দিকে, জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “কাল সন্ধ্যা ৭টায় ফোনে খবরটা পাই। আমরা তখন আইসি, আধিকারিকদের জানাই। তাঁরা আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। আমগাছের নীচে একটি দেহ পড়েছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত গন্ডগোলের ঘটনাকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অপরাধীরা সাজা পান, সেটাই চাই। তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দোষীদের কড়া শাস্তি চাই।”