পুলিসের পোশাকে তৃণমূল নেতার ছবি ছড়িয়ে পড়ল সামাজিক মাধ্যমে। এরপরেই বির্তক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী সহ একাধিক প্রশাসনিক দফতরে অভিযোগ জমা পড়েছে। বেআইনী বালি ব্যবসা সহ একাধিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এবার সেই নেতাকেই দেখা গেল পুলিসের পোশাকে।
এই ঘটনায় রহস্য ঘণীভূত হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার গোটা জামালপুর অঞ্চল জুড়ে। এই তৃণমূল নেতার নাম জানা গিয়েছে সেখ ফিরোজ। জামালপুরের বেরুগ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী তিনি। এবার তাঁর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমানে আসার কয়েক ঘন্টা আগে শাসক বিরোধী উভয় শিবির তোলপাড়।
শাসকদলের নেতাদের একাংশ যেমন অভিযোগ তুলেছেন ফিরজের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারাও। প্রশ্ন উঠছে পুলিসের পোশাক ওই নেতার গায়ে উঠলো কিভাবে? তার আবার ছবিও তোলা হল। আসল রহস্য কী তা নিয়েই তোলপাড় জামালপুর এলাকা।
প্রশাসনিক নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে বালি পাচার অব্যাহত জামালপুরে এমনটাই অভিযোগ। ১৫ পাতার অভিযোগপত্রে তৃণমূলের একাংশের নেতাই অভিযোগ তুলেছেন, ভারত রক্ষা আইনের আওতাভুক্ত দামোদর নদের বাঁধ কেটে বালি মাফিয়াদের রাজত্ব চলছে। জামালপুরের বেরুগ্ৰাম, চক্ষণজাদী, কামালপুর, চলবলপুর, হাবাসপুর, সারাংপুর, দাদপুর, শিয়ালী, কোড়া, মুইদিপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ঘাট তৈরি করে বালি পাচার চলছে। অভিযোগ বেরুগ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকাজুড়ে সেখ সাহাবুদ্দিন ওরফে দানি এবং সেখ ফিরোজ দাপিয়ে অবৈধ কারবার চালাচ্ছে প্রশাসনের সামনেই এমনটাই অভিযোগ।
এই দুই তৃণমূল নেতার একাধিক ছবি ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে। যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রী থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছবি রয়েছে তাঁদের। এ হেন তৃণমূল নেতার এবার পুলিসের পোশাকে ছবি নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।
জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ পাল বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই সেখ ফিরোজের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী সহ প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ পাঠিয়েছি। ফেসবুকে তার পুলিসের পোশাকে ছবি আমিও দেখেছি। আমরা চাই প্রশাসন ব্যবস্থা নিক’।
অন্যদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতা অজয় ডকাল বলেন, ‘আসলে তোলা আদায়ের সুবিধার জন্যই পুলিসের পোশাক পড়ে সামাজিক মাধ্যমে নিজেকে জাহির করছে। আমরা চাই পুলিস প্রশাসন সেখ ফিরোজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক’।