ব্রেথ অ্যানালাইজার পরীক্ষা আপাতত বন্ধ, মদ্যপ সন্দেহ হলেই হাসপাতালে পাঠাবে পুলিশ

রাজ্যজুড়ে করোনাভাইরাস দাপট দেখাচ্ছে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। চিকিৎসক থেকে পুলিশ সবাই এই সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই কারণে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে লালবাজারের কর্তাদের কপালে। কিন্তু শহরে মদ্যপান করা থেমে নেই। আবার পানশালাও খোলা। তাই মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন অনেকে। এই মত্ত চালকদের ধরতে ব্রেথ অ্যানালাইজার ব্যবহার করা হচ্ছিল। যা আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার। বিকল্প পথ হিসাবে কেউ মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছেন বলে মনে হলেই তাঁকে হাসপাতালে পাঠাবে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের ট্র্যাফিক গার্ডগুলিতে পুলিশ কমিশনারের এই নির্দেশ পৌঁছেছে। সেখানে ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ এভাবেও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। তাতে আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। তাই পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশই বহাল থাকবে। তাই ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার সরিয়ে ফেলা হয়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

জানা গিয়েছে, রাতের নাকা–চেকিংয়ের সময় এই ব্রেথ অ্যানালাইজার ব্যবহার করার বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন ট্র‌্যাফিক গার্ডের কর্মীরা। আর তাতেই সিলমোহর দিয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার। তিনি নিজেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরীক্ষার করতে গেলে যন্ত্রের মুখে যে পাইপ লাগাতে হয় তা লালবাজারের থেকে মিলছিল না। ফলে স্ট্র কিনে এনে যন্ত্রের মুখে লাগিয়ে পরীক্ষা করতে হচ্ছিল। এই পদ্ধতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই মদের গন্ধ পেলে বা কাউকে সন্দেহ হলেই তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্দান্ত নেওয়া হয়েছে। আর আইন ভাঙায় ২০০০ টাকা জরিমানা হতে পারে। একই অপরাধ বারবার করলে জরিমানা হতে পারে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, এখন মদ্যপ অবস্থায় কেউ গাড়ি বা মোটরবাইক চালিয়ে ধরা পড়লে সোজা চালান হবে হাসপাতালে। সেখানের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হবে কেস। জরিমানার পরিমাণও বাড়বে এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে। সুতরাং আজ থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে। রাত জুড়ে নৈশ কার্ফুর মধ্যে এটা বাড়তি সংযোজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.