বিধ্বংসী আগুন লাগল নয়াদিল্লি ওখলা মেট্রো স্টেশনের কাছাকাছি এলাকায়। একটি কারখানায় আগুন লাগার খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌছছে দমকলের ৩০ টি ইঞ্জিন। জানা গিয়েছে, রাত ২ টো নাগাদ হরিকেশ নগরে এই আগুন লাগে।
গভীর রাতে আগুন লাগায় সকলে সে সময় ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ করেই আগুন লাগে ও পুরো এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যায়। যখন সকলে ব্যাপারটা বুঝতে পারে তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
২ টো ২৫ নাগাদ তড়িঘড়ি দমকলকে খবর দেওয়া হয়। প্রথমে কম সংখ্যায় এলেও একে একে ৩০ টি ইঞ্জিন হাজির হয় ওই এলাকায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সকাল পর্যন্ত চেষ্টা চালাচ্ছিল দমকল বাহিনী।
আগুনের লেলিহান শিখা অনেক ওপরে উঠে যাচ্ছিল দমকল এসে প্রায় ৪০ জনকে আগুনের ভিতর থেকে উদ্ধার করে। তবে এক বৃদ্ধ ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর খোঁজ চলছে। আগুনের কবলে পড়ে বহু লোকের প্রচুর সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে বলে খবর।
চলতি সপ্তাহেই বিধ্বংসী আগুন লাগে মুম্বইয়ের মানখুরদে। আগুনের তীব্রতা এতটাই যে ১৫ ফুট অবধি ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখা গিয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে ছুটে যায় দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন। স্ক্রাপের মধ্যে এই আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। আগুনের শিখা এতই উঁচুতে জ্বলছিল যে বহুদূর থেকে তা দেখা যাচ্ছিল।
কদিন আগেই আগুন লেগেছিল কলকাতার বালিগঞ্জের গুরুসদয় দত্ত রোডে। ভোর ৫ টা নাগাদ গুরুসদয় দত্ত রোডের একটি গাড়ির যন্ত্রাংশের গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগে। যার জেরে পুড়ে ছাই হয়ে যায় প্রায় ১০ টি ঝুপড়ি। গুদামের পাশেই ছিল বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি। অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন গুদাম থেকে ঝুপড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় প্রায় ১০ টি ঝুপড়ি।
এর আগে জানুয়ারি মাসে আগুন লাগে বাগবাজারের হাজার হাত বস্তিতে। একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দে কেপে উঠে এলাকা৷ মূহুর্তের মধ্যে আগুন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে৷ আগুনের লেলিহান শিখায় গোটা বস্তি ছাই হয়ে যায়। প্রায় ২৫০ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। ৪টি কমিউনিটি হলে রাখা হয় দুর্গতদের। বাইকে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয় প্রশাসনের তরফে, আবার পুনর্বাসনের কথাও জানায় প্রশাসন।