বিনয় মিশ্রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি হানা সিবিআইয়ের। তাঁর দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই। সূত্রের খবর, কয়লাপাচার কাণ্ডে এই তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই।
উল্লেখ্য, গরু পাচারকারীদের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে যখন সিবিআই তৎপর। এনমুল হক’কে নিয়ে যখন সিবিআইয়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে ঠিক সেসময় এই পাচারকাণ্ডে নাম জড়ায় বিনয় মিশ্রের নাম। একটি সূত্র জানাচ্ছে, এই বিনয় মিশ্র যথেষ্ট প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, আদালত থেকে রীতিমতো সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে ওই ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। বিনয় মিশ্রের লেকটাউন ও রাসবিহারী এলাকার দুটি বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকালে এই তল্লাশি হানা দেয় সিবিআই।
যদিও অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের খোঁজ পায়নি সিবিআইয়ের দল। তবে জানা যাচ্ছে, কয়লা পাচার কাণ্ডে টাকা লেনদেনের গোটা প্রক্রিয়া দেখভালের দায়িত্বে থাকতেন এই অভিযুক্ত। কয়লাকাণ্ডে প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের নজরে ছিল বিনয় মিশ্র।
উল্লেখ্য, গরু পাচার ও কয়লা পাচারকাণ্ডে এই মুহূর্তে দারুণ সক্রিয় রয়েছে সিবিআই। পুরোদমে চলছে তল্লাশি অভিযান। অন্যদিকে গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হককে ফের জেল হেফাজত দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত৷
সিবিআই সূত্রে খবর, বুধবার এনামুলকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়৷ ফের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে সিবিআই৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, ৬ দিন হেফাজতে থাকাকালীন সহযোগিতা করেনি এনামুল৷ তাই তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে৷ তা স্বত্বেও আদালত তাকে জেল হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছে৷
সিবিআই এদিন এনামুল হকের ডায়েরি আদালতে জমা দিয়েছে৷ সূত্রের খবর,ওই ডায়েরিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের হিসেব লেখা রয়েছে। শুধু গরু পাচারই নয়, জাল নোট কারবারের সঙ্গেও এনামুল যুক্ত থাকতে পারে৷ এমনটাই বলে মনে করছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা৷