তিস্তায় হড়পা বান। সূত্রের খবর, খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বেশ কয়েক জন সেনা জওয়ানের। জলের তলায় চলে গিয়েছে সেনার একাধিক গাড়ি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। সিকিমের চুংথাম মূল ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের লোনাক লেক উপচে পড়ে। সেই অতিরিক্ত জল তিস্তায় চলে আসার পর বিপত্তি শুরু। সূত্রের খবর, এলাকায় ধস নামতে শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমের লাচেন উপত্যকার লোনাক লেক উপচে পড়ে। বিপুল পরিমাণ জল লোনাক উপচে চলে আসে তিস্তা নদীতে। এর ফলে মুহূর্তে তিস্তার জলস্তর প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে যায়। দু’পাশ ছাপিয়ে পাহাড়ি সিকিমে ধ্বংসলীলা শুরু করে তিস্তা। জলের তোড়ে সিংতামে সেনার একটি ছাউনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, অন্তত ২৩ জন সেনা জওয়ানের কোনও খোঁজ মিলছে না। ভেসে গিয়েছে ছাউনির প্রায় সমস্ত কিছুই। জলের তলায় চলে গিয়েছে সেনার গাড়ি-সহ গোটা ছাউনি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, সিংতামের কাছে বারদাংয়ে সেনা ছাউনিটি ছিল।
ভয়ঙ্কর তিস্তার রুদ্ররূপ পাহাড়ে যে ধ্বংসলীলা চালাল তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ সমতলেও। জলপাইগুড়ি জেলার বিশাল অংশ দিয়ে তিস্তা প্রবাহিত হয়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশে। তার পর তা মিশে যায় ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে। পাহাড়ে বৃষ্টির তেজ বাড়লে তাই চিন্তা বৃদ্ধি পায় জলপাইগুড়ি-সহ গোটা উত্তরবঙ্গেই।