শিক্ষিকা ও আঞ্চলিক ইতিহাস বিষয়ে অনুসন্ধিৎসু লেখিকা চৈতালি কুণ্ডু নায়েকের লেখা ‘নয়াগ্রাম রাজবংশ, দ্বিপাকিয়ারচাঁদ রাজ্য ও কুলটিকরি রাজবাড়ি’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশ হল বহু বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে। মেদিনীপুর শহরের ‘ভূর্জপত্র’ পুস্তক ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন কুলটিকরি রাজপরিবারের রাজকন্যা, সঙ্গীতশিল্পী, শিক্ষিকা রুমেলা সিংহ রায় ও রাজপরিবারের জামাতা প্রাক্তন সরকারী আধিকারিক দেবাশিস হুই।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি, গদ্যশিল্পী, সম্পাদক, শিক্ষক আনন্দরূপ নায়েক। পাশাপাশি তিনি প্রাক্তন অধ্যাপক রণজিৎ কুমার নায়েক ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা অমিতা নায়েকের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানের প্রাককথন উপস্থাপনের পাশাপাশি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী ও শিক্ষিকা অনিন্দিতা শাসমল। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন বর্ণালী বসু।
চন্দন, ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে অতিথিদের বরণ করে নেন রিঙ্কি ভৌমিক, ছোট্ট অরিক ভৌমিক (জিকো), অরিণ ভৌমিক (ডোডো), শ্রমণরূপ নায়েক (রিভু) ও
বইটির প্রকাশক অরিন্দমস্ প্রকাশনীর কর্ণধার অরিন্দম ভৌমিক। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক, মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক প্রসূনকুমার পড়িয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, ইতিহাস গবেষক, শিক্ষক, মেদিনীপুর আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ, ইতিহাস অ্যাকাডেমি ঢাকা সংস্থার সদস্য অতনু মিত্র। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক, ক্ষেত্র সমীক্ষক, সাংবাদিক অতনুনন্দন মাইতি, মেদিনীপুর কলেজের ইংরেজি ভাষা সাহিত্যের অধ্যাপক সৈকত সরকার, বিশিষ্ট কথাশিল্পী, কবি, শিক্ষক সুমন মহান্তি, সুবর্ণরৈখিক ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা পরিবারের পরিচালক মণ্ডলীর দুই সদস্য সমাজকর্মী বিশ্বজিৎ পাল ও সমাজকর্মী, শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া, সুবর্ণরৈখিক অববাহিকার ভূমিকন্যা শিক্ষিকা মধুমিতা বেরা, সুবর্ণরৈখিক অববাহিকার ভূমিপুত্র শিক্ষক সঞ্জিত পালই, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী, সম্পাদক, ছড়াকার ও গল্প লেখক মিতালী জানা, কানাডার মন্ট্রিয়লে গবেষণারত গবেষিকা অনন্যা জানা, ভূর্জপত্রের কর্ণধার গৌতম সরকার প্রমুখ। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর এই বই লেখার পশ্চাৎ কাহিনি, তথ্য সংগ্রহের ইতিহাস ও বইটির বিষয়বস্তু নিয়ে বিশেষ ভাবে আলোচনা করেন লেখিকা, শিক্ষিকা, কুলটিকরির ভূমিকন্যা চৈতালি কুণ্ডু নায়েক। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনের পাশাপাশি আবেগমথিত বক্তব্য রাখেন কুলটিকরি রাজপরিবারের রাজকন্যা শিক্ষিকা রুমেলা সিংহ রায়।
উপস্থিত সকল অতিথিদের তাঁদের বক্তব্য আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব আলোচনার পাশাপাশি প্রকাশিত পুস্তকটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সবাইকে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান অরিন্দমস্ প্রকাশনীর কর্ণধার অরিন্দম ভৌমিক ও শিক্ষক আনন্দরূপ নায়েক।