উপনির্বাচন ঘিরে বনগাঁয় উত্তেজনা ছড়াল। রবিবার পুরভোটে ১৪ নং ওয়ার্ডে বুথের বাইরে অশান্তি বাধে। বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। অন্য দিকে, তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূল নেতা নারায়ণ ঘোষ বলেন, ‘‘স্বপন মজুমদারই গায়ের জোর ফলিয়েছেন। মিথ্যা কথা বলছেন।’’
বিজেপি বিধায়কের দাবি, ভোট লুঠ করছে তৃণমূল। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে যেতেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। গেরুয়া শিবিরের দাবি, বিজেপি মহিলা কর্মী-সমর্থকদের উপরও হামলা চালানো হয়। বহিরাগতদের নিয়ে বুথ জ্যাম করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, বিজেপি কর্মীরাই গায়ের জোর ফলিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বনগাঁর ১৪নং ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে কেশবলাল বিদ্যাপীঠে যান বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। তাঁকে দেখামাত্রই চিৎকার জুড়ে দেন তৃণমূল কর্মীরা। অশোক দাবি করেন যে, তিনি ওই বুথেরই ভোটার। বুথের চারপাশে বহিরাগতরা রয়েছেন বলে অভিযোগ করে বিজেপি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পর ওই ওয়ার্ডের গাঁধীপল্লিতে একটি বুথে যান বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। স্লোগান দেওয়া হয়। পাল্টা ‘চোর চোর’ স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরা। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বাধে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, বিজেপি বিধায়করাই লোক জন এনে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলেন।
স্বপন মজুমদার পাল্টা বলেন, ‘‘তৃণমূল এত উন্নয়নের কাজ করেছে যে একটা উপনির্বাচনে ছাপ্পা ভোটে জিততে হবে তাদের। প্রশাসনকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বলব। না হলে, আমরা অবরোধ করব। আমরাও ছাপ্পা ভোট করতে জানি। কিন্তু আমরা এতে বিশ্বাসী নই। নিরপেক্ষতা বজায় রাখুন, না হলে এখানে অন্য রকম ঘটনা ঘটবে। প্রতিবাদ করব, প্রতিরোধ করব।’’ সিপিএম প্রার্থী ধৃতিমান পালও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘বুথ দখল করা হচ্ছে। বহিরাগতরা এসেছেন তৃণমূলের পক্ষ থেকে। আমায় ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। আমাদের এজেন্টদের ধাক্কা মেরে সরানো হয়েছে।’’