ফের বোমাতঙ্ক। তবে এবার আর একটি কোনও বিমানবন্দরে নয়। একসঙ্গে দেশের ১৮টি বিমানে একই সঙ্গে হুমকি। এক্স হ্যান্ডেল ব্যবহার করে সারাদেশে ১৮টি বিমানে বোমা রাখা আছে বলেই ছড়িয়ে দেওয়া হয় আতঙ্ক। কলকাতা, মুম্বই, বেঙ্গালুরু সহ একাধিক জায়গায় মোট ১৮ টা বিমানে বোমা রাখা আছে বলে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে। কলকাতা থেকে দিল্লিগামী ভিস্তারা বিমান, বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগো বিমান সহ মোট পাঁচটি বিমানে বোমা আছে, এমনটাই উল্লেখ করা হয়। এখনও পর্যন্ত দুটি বিমান চিহ্নিত করা হয়েছে।
ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেই এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। এই বিমানগুলিতে সারাদেশে জরুরি অবতরণের ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এর আগেও একাধিক বার এরকম হুমকি এসেছে, গোটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই জানানো হয়েছিল যে ভুয়ো কল করে বোমাতঙ্ক ছড়ালেই তাকে আজীবনের জন্য ব্ল্যাকলিস্টেড করা হবে। তার মাঝেই এই হুমকি।
গত সপ্তাহেই মাঝ আকাশে বিমান হাইজ্যাক ও বিমানে হাইড্রোজেন বোমা রাখার হুমকি দিয়ে ফোন আসে কলকাতা বিমানবন্দরেরই পোর্টালের ল্যান্ডলাইন নম্বরে। তড়িঘড়ি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ারপোর্ট অথরিটি সিআইএসএফ পুলিস। পরবর্তী সময় এয়ারপোর্ট অথরিটি লিখিতভাবে অভিযোগ জানায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানায়। কোন নাম্বার থেকে ফোনটি এসেছিল?কেন এই ধরনের ফোন করা হয়েছিল সমস্ত বিষয় তদন্তে নেমেছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানা।
গোটা অক্টোবর জুড়েই একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্কের খবর ছড়িয়েছে। গত ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর, তিন দিনে ভারতীয় বিমানে বোমা হামলার হুমকির সংখ্য়া ছিল ১৯। ইন্ডিগোর তিনটি, স্পাইসজেটের দুটি এবং আকাসা এয়ারের একটি, মোট ৬টি বিমানে হুমকি দেওয়া হয়। যার জন্য় বেশ কিছু বিমানের জরুরি অবতরণ করা হয় সেই সময়।
সূত্রের খবর, তিনটি আন্তর্জাতিক বিমান, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি এবং ইন্ডিগোর দুটি, সোমবার বোমা হামলার হুমকি পায়। এরপর ফের ১৭ অক্টোবর আরও দশটি হুমকি আসে৷ দুদিনের সমস্ত হুমকি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এসেছিল। তবে পরে তা সবই ভুয়ো বলে প্রমান হয়। এর জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, তবে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে কয়েকশো যাত্রীর। এর জেরে উড়ান সংস্থাগুলিও বিপাকে পড়েছে।