হরিদেবপুরের একটি ফ্ল্যাট থেকে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে ওই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় রবীন্দ্র কুমার চৌরাশিয়া(৪৫) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। তার পাশেই পড়ে ছিল সাগুপ্তা পারভিন(২৫) নামে এক মহিলার দেহ। রবীন্দ্র কুমার চৌরাশিয়া বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকার আদর্শ নগরের বাসিন্দা।
তদন্তের স্বার্থে এনিয়ে প্রথম দিকে বেশি মুখ খোলেনি পুলিস। তবে তাদের প্রাথমিক অনুমান ছিল একজন অন্যজনকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন। এদিকে রবীন্দ্রের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর একটি সুইসাইড নোট। সেখানে রবীন্দ্র লিখেছেন, তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী বন্ধবী সাগুপ্তা পারভিন। সে তার জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। পুলিশের অনুমান বান্ধবীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর আত্মহত্যা করেন পেশায় ইলেকট্রিক কন্ট্রাক্টর রবীন্দ্র চৌরাশিয়া।
রবীন্দ্রর বাড়ি বেহালার আদর্শ নগরে। হরিদেবপুরে তিনি থাকতেন অন্য একটি ফ্ল্য়াটে। বিবাহিত রবীন্দ্রের দুই সন্তান রয়েছে। তার মধ্যে মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। হরিদেবপুরের চাঁদের ভিলেজ এলাকায় ৩ বছর আগে ফ্ল্যাট কেনেন। মাঝে মাঝে এসে থাকতেন। মাঝে মাঝে পারভিন এসে থাকত। আজ সকালে কাজের লোক দরজায় ধাক্কা দেয়। সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে দরজা ভাঙে। দেখা যায় ভিতরের ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে রবীন্দ্র। বিছানায় শায়িত পারভিন। পারভিনের গলায় গাঢ় ফাঁস লাগানোর দাগ রয়েছে।