এলাকার মানুষ কিছুই জানতেন না। ঘরের কাছেই জমিতে পোঁতা ছিল তিন তিনটি মরদেহ। শেষপর্যন্ত তা সামনে আনল শেয়াল। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ময়মনসিংহের ত্রিশালে। ওই তিনটি মৃতদের পরিচয় পুলিস এখনও জানতে পারেনি। এলাকার মানুষও অবাক যে কে কখনও তাদের নাকের ডগায় পুঁতে গেল এই তিনটি মৃতদেহ।
মঙ্গলবার বিকেলে ওইসব মৃতদেহ উদ্ধার হয় উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রাম থেকে। স্থানীয় মানুষজন কেউই ওইসব মৃতদেহ চিনতে পারছেন না। এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। কাজে লাগানো হয়েছে ফরেন্সিক টিমকে।
ত্রিশাল থানার এসআই হুমায়ুন কবীর মরদেহ উদ্ধারের কথা স্বীকার করেছেন। হুমায়ুন কবীর বলেন, আনুমানিক সপ্তাহখানেক আগে ওই নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে মরদেহ তিনটি মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। শিয়াল গর্ত করে একটি শিশুর মরদেহ মাটির নিচ থেকে টেনে বের করলে আজ সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে গর্ত খুঁড়ে এক মহিলা ও ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিসের বক্তব্য, ওই তিনজন এলাকার কেউ ননয তাই স্থানীয়রা তাদের চিনতে পারছেন না। পাশাপাশ মৃতদেহে পচন ধরায় চিনতেও সমস্যা হচ্ছে। পুলিসের দাবি অন্য কোনো এলাকায় ৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। পরে রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামের একটি নির্জন জায়গায় মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখা হয়েছিল তাদের মরদেহ। মহিলার বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। দুই শিশুর একজনের বয়স ৩ বছর ও অপরজনের বয়স ৬ বছরের কাছাকাছি।