দু’বার দুরারোগ্য ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে ফিরে এসেছেন তিনি। কিন্তু অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার অবস্থা ফের আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে ফের মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
ছবি: সংগৃহীত।
০২১৭
মঙ্গলবার রাতে স্ট্রোক হয় ঐন্দ্রিলার। হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন অভিনেত্রী। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কোমায় চলে গিয়েছেন তিনি।
ছবি: সংগৃহীত।
০৩১৭
অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাঁর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে বলে খবর। হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী।
ছবি: সংগৃহীত।
০৪১৭
মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন ঐন্দ্রিলা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বুধবার। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টা না কাটলে কিছু বলা যাচ্ছে না।
ছবি: সংগৃহীত।
০৫১৭
ঐন্দ্রিলার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত অভিনেত্রীর শরীরের এক দিক পুরো অসাড়। বাঁ হাত সামান্য নাড়াচাড়া করতে পারছেন। তা ছাড়া শুধু চোখ নড়ছে।
ছবি: সংগৃহীত।
০৬১৭
চিকিৎসকরা এ-ও জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলার বয়স কম হওয়ার কারণে এ ক্ষেত্রে তাঁর ঝুঁকি কিছুটা কম। তবে যত ক্ষণ পর্যন্ত অভিনেত্রীর জ্ঞান না ফিরছে, তত ক্ষণ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না তাঁরা।
ছবি: সংগৃহীত।
০৭১৭
সূত্রের খবর, একটি ওয়েব সিরিজে কাজের জন্য আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঐন্দ্রিলার গোয়া যাওয়ার কথা ছিল। তবে আচমকা এই অসুস্থতায় আপাতত সব কাজ স্থগিত।
ছবি: সংগৃহীত।
০৮১৭
চিকিৎসার জন্য কিছু দিনের মধ্যে দিল্লিও যাওয়ার কথা ছিল ঐন্দ্রিলার। সেই মতো শ্যুটিংয়ের কাজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু আচমকাই স্ট্রোক হয়েছে তাঁর।
ছবি: সংগৃহীত।
০৯১৭
মাত্র ২৪ বছর বয়সে ঐন্দ্রিলার শরীরে দু’বার থাবা বসিয়েছে মারণ রোগ ক্যানসার। দু’বারই সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে তিনি ফিরে এসেছেন। ঈশ্বর তাঁর মধ্যে অসুখের সঙ্গে লড়াই করার মতো জীবনীশক্তি ঢেলে দিয়েছেন, মনে করেন অভিনেত্রীর পরিচিতরা।
ছবি: সংগৃহীত।
১০১৭
১৮ বছর বয়সে প্রথম বার ক্যানসার ধরা পড়েছিল ঐন্দ্রিলার। তখন তিনি একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। টানা দেড় বছর মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। ফিরে এসেছিলেন হাসিমুখে।
ছবি: সংগৃহীত।
১১১৭
ক্যানসার থেকে সেরে উঠে ঐন্দ্রিলা অভিনয় জগতে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন বিস্তর। ‘জিয়নকাঠি’ ধারাবাহিক তাঁকে বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল। টালিগঞ্জের স্টুডিয়োপাড়ায় সকলের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন এই তরুণী অভিনেত্রী।
ছবি: সংগৃহীত।
১২১৭
কিন্তু ঐন্দ্রিলার শরীরে ফের বাসা বাঁধে ক্যানসার। তাঁর দ্বিতীয় বার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে মুষড়ে পড়েছিলেন ভক্তরা। কিন্তু অভিনেত্রী কথা দিয়েছিলেন, অসুখকে হারিয়ে অভিনয় দুনিয়ায় আবার ফিরবেন এক গাল হাসি নিয়ে।
ছবি: সংগৃহীত।
১৩১৭
কথা রেখেওছিলেন ঐন্দ্রিলা। লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের জগতে ফিরে নেটমাধ্যমে সুখবর দিয়েছিলেন। লিখেছিলেন, ‘‘আবার ফিরে আসা’’। শুভেচ্ছাবার্তার বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন অনুরাগীরা।
ছবি: সংগৃহীত।
১৪১৭
ঐন্দ্রিলার অসুস্থতার প্রায় শুরু থেকেই পাশে ছিলেন তাঁর প্রেমিক তথা অভিনেতা সব্যসাচী। স্টুডিয়োপাড়ায় হোক কিংবা নেটমাধ্যমে, বরাবর ঐন্দ্রিলার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, প্রেমিকার হঠাৎ এই অসুস্থতায় ভেঙে পড়েছেন সব্যসাচী। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ফোন বেজে গিয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত।
১৫১৭
ক্যানসারের চিকিৎসা চলাকালীন কেমোথেরাপির জন্য ঐন্দ্রিলাকে মাথার সব চুল কেটে ফেলতে হয়েছিল। সেই সময় মাথা কামিয়ে ফেলেছিলেন সব্যসাচীও। ঐন্দ্রিলার পাশে থাকতে তাঁর এক বান্ধবীকেও চুল কাটতে দেখা গিয়েছিল।
ছবি: সংগৃহীত।
১৬১৭
ক্যানসার থেকে সেরে ওঠার পর স্বমহিমায় ক্যামেরার সামনে ফিরেছিলেন অভিনেত্রী। জি বাংলা অরিজিনাল ছবি ‘ভোলে বাবা পার করেগা’-তে অনির্বাণ চক্রবর্তীর মেয়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘ভাগাড়’ ওয়েবসিরিজেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাজ করেছেন।
ছবি: সংগৃহীত।
১৭১৭
ঐন্দ্রিলার অনুরাগীরা বরাবরই তাঁর ‘জিয়নকাঠি’র উপর ভরসা রেখেছেন। কঠিন অসুখের মুখ থেকে বার বার তিনি উঠেছেন যেন ফিনিক্স পাখির মতো। এ বারও হাসপাতালে শুয়ে তেমনই কোনও মিরাকল করবেন প্রিয় অভিনেত্রী, আশাবাদী স্টুডিয়োপাড়া।