বিমান তখন মাঝ আকাশে। আচমকা শুরু হল রক্তপাত। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিলেন পাইলট। জরুরি অবতরণ করানো হল বিমানটিকে। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। জরুরি অবতরণের পর সঙ্গে সঙ্গে ৬০ বছর বয়সী ওই প্রৌঢ়কে নিয়ে ছুটে যাওয়া হয় বিমানবন্দর সংলগ্ন হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোর বিমানবন্দরে।
জানা গিয়েছে, মাদুরাই থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন ওই ব্য়ক্তি। ইন্ডিগো বিমানের যাত্রী ছিলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটে শনিবার সন্ধ্যায়। অতুল গুপ্তা নামে ৬০ বছর বয়সী ওই প্রৌঢ় 6E-2088 বিমানের যাত্রী ছিলেন। বিমানে আকাশে ওড়ার পর আচমকাই মাঝ আকাশে অসুস্থবোধ করতে থাকেন তিনি। শুরু হয় মুখ দিয়ে রক্তপাত। সঙ্গে সঙ্গে পাইলট রুট বদলে নিকবর্তী ইন্দোরের দেবী অহিল্যাবাঈ হোলকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইন্ডিগো উড়ানটির জরুরি অবতরণ করান। বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ বিমানটি জরুরি অবতরণ করে। তারপরই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এমনটাই জানিয়েছেন দেবী অহিল্যাবাঈ হোলকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডিরেক্টর ইন-চার্জ প্রবোধ চন্দ্র শর্মা। তিনি আরও জানান, চিকিৎসক যিনি অতুল গুপ্তাকে বিমানবন্দর থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করছিলেন, তিনি জানিয়েছেন যে ওই ব্যক্তি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। এই ঘটনার পর আবার সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ ইন্ডিগো উড়ান নির্দিষ্ট গন্তব্য দিল্লির দিকে উড়ে যায়। জানা গিয়েছে, অতুল গুপ্তা আদতে নয়ডার বাসিন্দা ছিলেন। আজ তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।