বিহারের সিওয়ানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন এক কৃষক। আলোচনায় আসার পেছনের কারণ হলো কালো আলু চাষ। গয়ার পর সিওয়ানেও শুরু হয়েছে কালো আলুর চাষ। পরীক্ষামূলক চাষের পর কালো আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
সিওয়ানে প্রথমবারের মতো জৈবভাবে কালো আলু চাষ করেছেন একজন কৃষক। প্রতিটি কৃষক স্বাভাবিক আলু চাষ করলেও জেলায় প্রথমবারের মতো একজন কৃষক কালো আলু চাষ করছেন বলে জোর আলোচনা চলছে।
মানুষ ওই কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে কালো আলু কিনেছেন। জেলার অন্যান্য কৃষকরাও কালো আলুর প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করেছেন এরপরে। এটা বিশ্বাস করা হচ্ছে যে পরবর্তী সময়ে অন্য কৃষকরাও সিওয়ান জেলায় কালো আলু চাষ করতে পারেন।
বিহারের সিওয়ানে কালো আলু তার জাদু দেখাচ্ছে। এর জাদুতে কৃষকের মুখও উজ্জ্বল হয়েছে। সিওয়ান জেলার গোরিয়াকোঠি ব্লকের কারপালিয়ার বাসিন্দা কৃষক সুরেশ প্রসাদ প্রায় দুই একর জমিতে এক কুইন্টাল বীজ দিয়ে চাষ শুরু করেছিলেন। ওই কৃষক ১২০ দিন পর ১২ কুইন্টাল কালো আলু সংগ্রহ করেছেন। তিনি বেগুসরাই থেকে চাষের জন্য বীজ এনেছিলেন।
এর আগে বিহারের গয়াতে এই কালো আলুর চাষ করেছিলেন। ইউটিউব দেখে বিহারের মাটিতে ফলিয়ে দিয়েছিলেন কালো আলু। আমেরিকা থেকে কালো আলুর বীজ অর্ডার দিয়ে আনিয়ে বিহারের চাষের জমিতে কালো আলু ফলিয়েছেন কৃষক আশিস কুমার সিং।
জানা গিয়েছে যে এই আলু অত্যন্ত উপকারি এবং হার্ট এবং ফুস্ফুসের মতন ভিন্ন অঙ্গের জন্য এর বহু উপকারি গুণ রয়েছে।
কালো আলু সাধারণত আমেরিকার আন্দিজ পর্বত অঞ্চলে চাষ করা হয়। যদিও এবার ভারতেও ফলল কালো আলু। পঞ্জাব এবং ছত্তিশগঢ়ের মতো অন্যান্য রাজ্যেও এর চাহিদা বাড়ছে।