বাংলার আপন উৎসব দুর্গাপুজোয় দলীয় নেতাদের আরও ঘনিষ্ঠ সংযোগ চায় রাজ্য বিজেপি। বুধবার জেলায় জেলায় দলীয় প্রেসিডেন্টদের কাছে সেই মর্মে নির্দেশ গিয়েছে। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, দুর্গাপুজোর সঙ্গে দলের নেতা, কর্মীদের নিবিড় ভাবে যুক্ত হতে হবে। রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রতিটি ব্লকে অন্তত একটি পুজোয় নেতাদের প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত থাকতে হবে। সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ওই পুজো সম্পন্ন করবেন নেতা, কর্মীরা। এ বিষয়ে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
বুধবার জেলা প্রেসিডেন্টদের কাছে ১০ দফা নির্দেশ পাঠিয়েছে পদ্মশিবির। তার মধ্যে অন্যতম ছিল এই ‘শারদীয়’ নির্দেশটি। অনেকের মতে, এ বার বাংলার দুর্গোৎসবে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে বিজেপি। সেই কারণেই এমন নির্দেশ গেল জেলা নেতৃত্বের কাছে। দুর্গাপুজোয় সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দল যাতে আলাদা করে নজর কাড়তে পারে, সেই চেষ্টায় আছেন রাজ্য নেতৃত্ব।
দুর্গাপুজোয় প্রতি বছর ক্লাবগুলিকে আলাদা করে অনুদান দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর উদ্বোধন থেকে শুরু করে বিসর্জন, গোটা প্রক্রিয়াই শাসকদল তৃণমূলের দখলে বলা চলে। ক্লাবগুলিতে তৃণমূল নেতাদের প্রভাব কারও অজানা নয়। কলকাতায় তো বটেই, গোটা রাজ্যেই তৃণমূল নেতাদের নিজস্ব পুজো আছে। সে সবই বড় বাজেটের পুজো। এই দুর্গাপুজোর বাজারেই এ বার পা রাখতে চাইছে বিজেপিও।
কলকাতায় গত কয়েক বছর ধরে বিজেপি দলের তরফে একটি পুজো করে আসছে। যদিও এ বছর সেই পুজো হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। বিজেপির সেই পুজো নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। এ বছর দলের এক নেতার উদ্যোগে কলকাতায় একটি পুজো হওয়ার কথা আছে। তবে শুধু কলকাতা নয়, রাজ্য জুড়েই দুর্গাপুজোর নির্দেশ পাঠাল পদ্মশিবির।
জেলা নেতৃত্বকে পাঠানো ১০ দফা নির্দেশের মধ্যে অন্যতম ভোটার তালিকা সংশোধন। এই কাজে বিজেপি বরাবরই কিছুটা পিছিয়ে থাকে। নির্দেশে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে, তা সংশোধনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে এটাই তালিকা সংশোধনের শেষ সুযোগ। তাই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এই কাজ করতে বলা হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। বুথে বুথে সমস্ত বিজেপি সমর্থকের নাম যেন তালিকায় থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। বিএলওদের নিয়ে নাম তোলানোর কাজ করতে হবে। মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।