BJP, Suvendu, Police, ব্যারাকপুরের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের আচরণকে হিংস্র নেকড়ের সঙ্গে তুলনা শুভেন্দুর

 ব্যারাকপুরে বিজেপির মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে অ্যাকশন মোডে দেখা গিয়েছে আজ। জল কামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল, লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে চড়- থাপ্পর, লাথি কোনটারই খামতি ছিল না আজ এই খন্ড যুদ্ধে পুলিশের তরফে। সোমবার দুপুরের ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পুলিশের ভূমিকাকে হিংস্র নেকড়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ১ ঘন্টার বেশি সময় ধরে খুঁজে খুঁজে বেছে বেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পেটানো হয়েছে।

লোকসভা ভোটের মুখে বঙ্গ বিজেপির এক কর্মসূচি অনুষ্ঠানিক ঘোষণা করার কথা ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু ব্যারাকপুরের মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। যেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তারপর থেকে সেখানেই কর্মী সমর্থকদের সঙ্গেই রয়েছেন সুকান্ত। ফলে কর্মসূচিতে থাকতে পারেননি তিনি। তাই বিজেপির ওই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করার সাথে সুকান্তবাবুর না থাকার কারণ জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কড়া ভাষায় নিন্দা করেন পুলিশের ভূমিকার।

মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে কড়া হাতে দমন করতে দেখা গিয়েছে। ইট বৃষ্টি, জল কামান, কাঁদানে গ্যাসের সেল, লাঠি চার্জের জেরে আজ রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে ব্যারাকপুর। সোমবার দুপুরে ঘটনার রীতিমতো কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের এই অ্যাকশান মোডকে হিংস্র নেকড়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, পুলিশ খুঁজে ও বেছে নিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ধরে পিটিয়েছে।

শুভেন্দুবাবুর বক্তব্য, ব্যারাকপুরে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে বিজেপির কর্মসূচি ছিল। ওই কর্মসূচিতে যা যা ঘটেছে তা আপনারা দেখেছেন। কোনো প্ররোচনা ছাড়াই হিংস্র নেকড়ের মত পুলিশ শুধু জলকামান ব্যবহার করেই ক্ষান্ত হয়নি। ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে খুঁজে বেছে তার দলের কর্মীদের পেটানো হয়েছে। বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত বিজেপি কর্মীদের ব্যারাকপুর হাসপাতালে থেকে কল্যাণী এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারী কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ব্যারাকপুরে বিজেপির ১৫ জন একনিষ্ঠ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি পুলিশের আচরণের নিন্দা করছি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।‌ আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে এই ঘটনাগুলি ঘটানো হয়েছে। বিজেপি এর শেষ দেখে ছাড়বে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.