সাংসদ রত্ন পুরস্কার নিয়ে আজ দুপুরে কলকাতায় ফেরেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক। বিমান বন্দরে নামতেই তাকে ঘিরে উন্মদনা ছিল দেখার মতো। এটা বলা যেতেই পারে সাম্প্রতিক অতীতে কোনো বঙ্গ বিজেপি নেতাকে ঘিরে এই উন্মাদনা দেখা যায়নি।
সংসদে দারুন পারফরম্যান্সের জন্য সাংসদরত্ন পুরস্কার নিয়ে আজ কলকাতায় ফেরেন সুকান্ত মজুমদার। আর তার জন্য আগে থেকেই বিমান বন্দরে অপেক্ষা করেছিলেন দলের কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক। বিমান বন্দরে থেকেই বেরোতেই তাঁকে ঘিরে ধরে আনন্দে আত্মহারা দলের কর্মী সমর্থকরা। জোরে জোরে তাঁর নামে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। ফুলের তোড়া, ফুলে মালায় তারা বরণ করে নেন তাদের প্রিয় নেতাকে। সুকান্ত মজুমদারকে ঘিরে তাদের উচ্ছ্বাস এতোটাই ছিল যে ভিড় ঠেলে কোনো ভাবেই এগিয়ে যেতে পারছিলেন না সুকান্ত। শেষমেষ তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনী তাকে কোনও রকমে বের করে নিয়ে আসেন গাড়ির কাছে।
তবে এখানেও ছিল বিরাট চমক। দলের কর্মীরা তাদের নেতার জন্য এদিন হুডখোলা জিপের আয়োজন করেছিলেন। সেই হুডখোলা জিপের চেপেই সুকান্ত দলের রাজ্য অফিসে আসেন। তবে গোটা রাস্তায় তার জিপের আগে ছিল বিরাট বাইক মিছিল। বার বার সুকান্তকে দেখা যায় মাথা নত করে প্রণাম জানতে।
কেউ বিরাট ফুলের তোড়া কেউ ফুলের মালা হাতে আজ বিমান বন্দরে ছুটে গিয়েছিলেন। সকলেই তাদের নেতাকে কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখতে চাইছিলেন, কিন্তু প্রবল ভিড়ে সেটা সম্ভব হয়নি সবার পক্ষে। কিন্তু আপাদমস্তক শিক্ষিত অধ্যাপক- বঙ্গ বিজেপি দায়িত্ব এখন যার কাঁধে তিনি বার বার মাথা নত করে প্রণাম জানিয়েছেন দলের কর্মী সমর্থকদের। মানুষের ভালোবাসায় আজ তাকেও আপ্লুত হতে দেখিয়েছে।
বিমান বন্দরের পর দলীয় কার্যালয়ে তাঁর জন্য সম্বর্ধনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পালের মতো একাধিক বঙ্গ বিজেপির নেতা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেও ছিল কর্মী সমর্থকদের থিকথিকে ভিড়।
সাম্প্রতিক অতীতে কোনো বঙ্গ বিজেপি নেতাকে ঘিরে এই রকম উন্মাদনা খুব একটা চোখে পড়েনি। উত্তর বঙ্গের বালুরঘাটের সাংসদকে আজ কলকাতায় বঙ্গ নেতা হিসেবে বরণ করেছেন মানুষ নিজ উদ্যোগে, সেটা যে বাংলার রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।