ভোট ও গণনা মিটে গেলেও ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে এখনো চলছে বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলা। আবারও ভাটপাড়ায় বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক ভোট প্রচারের সময় বারংবার গুন্ডারাজ খমতের ডাক দিয়েছেন। তিনি জিতে যাওয়ার পরেও ব্যারাকপুরজুড়ে অব্যাহত ভোট পরবর্তী হিংসা।
শনিবার মাঝ রাতে জগদ্দল থানার ভাটপাড়া পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আঁতপুর এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব ঘোষের বাড়িতে শনিবার রাতে বেশ কয়েকজন যুবক হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না বিজেপি কর্মী বিপ্লব ঘোষ। তার বাড়ির সদস্যদের অস্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দেওয়া হয় এবং গেট ভেঙ্গে
বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। আতপুর রাজবাড়ি মাঠ এলাকার বাসিন্দা সঞ্জু বিশ্বাস দলবল নিয়ে বিপ্লবের বাড়িতে হামলা চালায়। এমনকি পেশায় সাংবাদিক বিপ্লবের ভাই পল্লব কুমার ঘোষ প্রতিবাদ জানালে তাকে দেখে নেবার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি কর্মী বিপ্লব ঘোষের মা চন্দনা ঘোষ বলেন, “অনেক রাতে কিছু ছেলে আমার বাড়ির নিচে এসে আমার বড় ছেলের খোঁজ করতে থাকে। আমার ভাড়াটিয়াদের সাথে প্রথমে কথা বলে, এরপর ওদের মধ্যে একজন ওপরে এসে গেট ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল। কয়েকজন নিচে দাঁড়িয়েছিল। আমার দুই ছেলেকে ঘরে ঢুকে ওরা মারার চেষ্টা করেছিল। এমন কি আমার ছোট ছেলেকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রচন্ডভাবে আতঙ্কে রয়েছি।”
ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছে ঘোষ পরিবার।
অপরদিকে হামলার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নেই বলে দাবি করেন ভাটপাড়া পৌরসভার পৌর পিতা বিপ্লব মালো। এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর বিপ্লব মালো বলেন, এই “ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। কারণ যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে সে আমাদের দলের কেউ নয়, বরং সে একটা ছিঁচকে চোর। ওর বিরুদ্ধে আমিও অনেক বার পুলিশে অভিযোগ করেছি। আর আমাদের সাংসদ পার্থ ভৌমিক বারবার ব্যারাকপুর থেকে গুন্ডারাজ দূর করার কথা বলেছেন, সেখানে এসব ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
অপর দিকে ঘটনার কড়া নিন্দা করেন বিজেপির ব্যারাকপুর সংগঠনিক জেলার মুখপাত্র আবিষ্কার ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “নব নির্বাচিত সাংসদ পার্থ ভৌমিক গুন্ডারাজ খতম করার কথা বলে, আর এখন এই পরিস্থিতিতে কোথায় চলে গেছেন। আসলে ভাটপাড়ার প্রতিটি ওয়ার্ডে তৃণমূল হেরেছে। তাই সেই জ্বালা মেটাতেই বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর কাজ করছে। তৃণমূল বাহিনীর তাণ্ডবের হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না কেউ।”
বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।