কোনওক্রমে জিতে গড় রক্ষা করলেন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার গণনার শুরু থেকেই পিছিয়ে ছিলেন তিনি। বালুরঘাট আসন দখল করতে তৃণমূল ময়দানে নামিয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের অভিজ্ঞ নেতা বিপ্লব মিত্রকে। যিনি বর্তমানে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যও। তৃণমূলের এই কৌশল কাজেও লেগেছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ গণনার প্রথমপর্ব থেকেই ধীর গতিতে এগোতে শুরু করেছিলেন তৃণমূলের বিপ্লব। কিন্তু দুপুরে গণনা কেন্দ্রের বাইরে এসে বিজেপি সভাপতি দাবি করেন, ‘‘তৃণমূল যে এলাকায় শক্তিশালী সেই এলাকার কাউন্টিং চলছে, এর পর যেখানে আমাদের শক্তি বেশি, সেখানকার কাউন্টিং শুরু হলেই আমরা এগোবে। শেষ পর্যন্ত ১৬ হাজারের কিছু বেশি ভোটে জয়ী হন তিনি।
বিজেপি সভাপতির অনুমান সঠিক প্রমাণ করেই বালুরঘাটে তিনি এগোতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করে দুর্গ রক্ষা করেছেন বিজেপি সভাপতি। ২০১৯ সালে প্রথমবার বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। সে বার তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে ৩৩ হাজারের কিছু বেশি ভোটে পরাজিত করে সাংসদ হন। সাংসদ হিসাবে ভাল কাজ করে শ্রেষ্ঠ সাংসদের পুরস্কারও পেয়েছেন সুকান্ত। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপর্যয় হয়। ফলস্বরূপ, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সংগঠনের রাজ্য সভাপতি করা হয় সুকান্তকে। প্রাক নির্বাচনী পর্বে রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছুটে বেরিয়েছেন এই যুবা সাংসদ। কিন্তু সেই পরিশ্রমের ফসল মেলেনি বলেই মত বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশের।