রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে হঠিয়েই স্বমূর্তি ধারন করলেন বিজেপি বিধায়ক বালমুকুন্দ আচার্য। জয়পুরের হাওয়ামহল বিধানসভার জয়ী প্রার্থী বালমুকুন্দ রাস্তায় দাঁড়িয়েই পুরসভার এক আধিকারিককে ফোন করলেন, রাস্তার ধারে সব আমিষ খাবারের স্টল বন্ধ করুন। শুধু তাই নয় সরকারি আধিকারীককে হুঁশিয়ারি দিলেন, কী হল রিপোর্ট করুন। তাঁকে গিয়ে রিপোর্ট আনতে হবে কিনা তাও জেনেও নিলেন। ফোন কাটতেই উল্লাসে ফেটে পড়ল জনতা।
হাওয়ামহল আসনে কংগ্রেস প্রার্থী আর আর তিওয়ারিকে ৬০০ ভোটে হারিয়েছেন বালমুকুন্দ আচার্য। তাঁর ওই ভিডিয়ো বাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে বালমুকুনন্দ এক সরকারি অফিসারকে বলছেন, ‘রাস্তার প্রকাশ্যে কি আমিশ খাবার বিক্রি হতে পারে? হ্য়াঁ কি না বলুন। ওদের ওখান থেকে তুলুন। সন্ধেয় আপনার কাছ থেকে রিপোর্ট নেব। নাকি আমি যাব? আপনি কে তা আমার জানার দরকার নেই।’ বিজেপি নেতার ওই হুঁশিয়ারির পরই সুযোগ ছাড়েননি মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি। তিনি বলেছেন, এভাবে কেউ খাবারের দোকান বন্ধ করতে পারে না। এটা অন্য়ায়।
উল্লেখ্য, ১৯৯ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় বিজেপি জয়ী হয়েছে ১৫৫ আসনে। বিজেপি ভোটে পেয়েছে ৪১.৬৯ শতাংশ। ২০১৮ সালের থেকে অন্তত ২.৪১ শতাংশ বোট বাড়িয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, কংগ্রেস ও বসপার ভোটে কমেছে যথাক্রমে ০.২৯ শতাংশ ও ২.২৬ শতাংশ।
আমিষ খাবারের বিরুদ্ধে আগেই ব্যবস্থা নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। কিছুদিন আগেই রাজ্যে হালাল পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সম্প্রতি ২৫ নভেম্বরকে নো নন ভেজ ডে হিসেবে ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সাধু তানওয়ারদাস লীলারামকে শ্রদ্ধা জানাতেই ওই ঘোষণা করেছে সরকার। পাশাপাশি ওইদিন রাজ্যজুড়ে সব কসাইখানা মাংসের দোকান বন্ধের কথা বলেছে সরকার।