টাকা উদ্ধারের পর ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনো নজর বন্দি বিজেপির জেলা সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ।
গতকাল হোটেলের তিনতলার একটি রুমে একটি লাগেজ ব্যাগ থেকে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয় বলে সূত্রের খবর। ওই রুমে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি-র বেশ কয়েকজন নেতা ছিলেন। ঘটনা ঘিরে রীতিমত শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পরে পাশের ৩০৬ নম্বর ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি-র সভাপতি সুদাম পন্ডিত। তিনি বলেন, এটা দলের টাকা। প্রধানমন্ত্রীর সভার প্যান্ডেল, সাউন্ড সিস্টেম, গাড়ি ভাড়া সহ বিভিন্ন পেমেন্টের জন্য রাখা হয়েছিল।
এদিকে এই ঘটনার পরই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল এবং ফেসবুকে একটি ৩ মিনিটের ভিডিও সহ বিষয়টি পোস্ট করা হয়। দাবি করা হয়, “ভোটের আগে শুরু বিজেপির নোটের খেলা।” খড়্গপুরের একটি হোটেলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তল্লাশি চালানোর সময় যাঁর কাছ থেকে ব্যাগে থাকা এত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে তিনি মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা সমিত মণ্ডল। তাঁর কাছ থেকেই পাওয়া গেল ৩৫ লক্ষেরও বেশি টাকা। পুলিশ নজর বন্দি করেছে জেলা সভাপতি সুদাম পন্ডিত ও কোষাধ্যক্ষ শুভাশিষ পন্ডিতকে।
টাকা উদ্ধার করা হয়েছে সুমিত মন্ডল এর কাছ থেকে। তিনি বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক এবং প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের সহযোগী। যদিও নির্বাচনী এজেন্ট রমাপ্রসাদ গিরি ওই হোটেলে ছিলেন না।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ভোটের আগে আগে এত টাকার হদিশ স্পষ্টতই প্রমাণ করছে ভোটারদের প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা চলছে। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ ও শাসক দলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
সন্ধ্যায় বিজেপির জেলা সভাপতি সুদাম পন্ডিত জানান, এটা দলের টাকা। প্রধানমন্ত্রীর সভার খরচের জন্য রাখা হয়েছিল। দল ঠিক সব হিসেব দিয়ে দেবে। তৃণমূল রাজনৈতিক ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে না পেরে পিছনের দরজা দিয়ে বিজেপিকে কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সব জানিয়েছি।