BJP, Midnapur, মেদিনীপুরে বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে শেষ দিনের প্রচারে দিলীপ ঘোষ

মেদিনীপুরে বিধানসভা উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থীর হয়ে শেষ দিনের প্রচার করলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন হাসপাতালে স্থানান্তর রোগ থেকে শুরু করে সিসিটিভি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, কলকাতায় অস্ত্রভাণ্ডার, বনগায় গুলি, শিয়ালদা আদালতে সিবিআইয়ের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন তিনি।

ভোট সন্ত্রাস-
১) পশ্চিমবাংলায় ভোটে সন্ত্রাস হবে এটা আমি জানতাম। শালবনির বহু গ্রামে বিজেপিকে ঝাণ্ডা বাঁধতে দেওয়া হচ্ছে না। বেরলে কর্মীদের মারা হচ্ছে, ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। পুলিশকে জানালে পুলিশ বলে, আমাদের কি জিজ্ঞেস করে ঝান্ডা বেঁধেছিলেন? সুতরাং নির্বাচনে পতাকা বাঁধতে গেলেও পুলিশের পারমিশন নিতে হবে, অতএব কী পরিস্থিতিতে ভোট হচ্ছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে।

বনগাঁয় গুলি-
২) বনগায় গুলি চালানো প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবাংলায় গুলি চালানো এটা নতুন নাকি? রাস্তাঘাটে, কলকাতার বুকে রোজ গুলি চলছে, বোমা ফাটছে, ফলে এগুলো সয়ে গেছে। খুন, ধর্ষণ, গুলি, বন্ধুক, বম্ব কারখানা এগুলো সাধারণ ঘটনা হয়ে গেছে। এগুলো কুটির শিল্প আমাদের। মানুষ খুব একটা প্রভাবিত হয় না, আইন-শৃঙ্খলা যেখানে নেই। দুষ্কৃতকারীরা যেখানে দল আর সরকার চালায় সেখানে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না।

কলকাতায় অস্ত্র ভান্ডারের হদিশ-
৩) কলকাতায় অস্ত্র ভান্ডারের হদিস প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, সারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে যখন আইন শৃঙ্খলা কড়া করা হয়েছে, আমাদের পাশের রাজ্য বিহার, উত্তরপ্রদেশে ২০-৩০ বছর আগে জঙ্গলের রাজ ছিল। ওখানে সরকার পরিবর্তন হতেই দুষ্কৃতী, মাফিয়া, গুন্ডারা পালিয়ে এসে পশ্চিমবঙ্গে ঘাঁটি গেড়েছে। আর এখানে যে সরকার আছে সে সরকার এই দুষ্কৃতকারীদের বন্ধু সরকার। বাংলাদেশের উগ্রপন্থী হোক বা নেপাল বা উত্তর-পূর্ব কিংবা পাঞ্জাবের গ্যাংস্টার সবার এই রাজ্যে আড্ডা, আর এখানে নিশ্চিন্তে থাকে, কারণ এখানে কেউ গায়ে হাত দেবে না।

সিসিটিভি ক্যামেরা প্রসঙ্গ-
৪) সিসিটিভি ক্যামেরা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ধন্যবাদ দেওয়া উচিত এই জুনিয়র ডাক্তারদের। কমপক্ষে কড়া আন্দোলন করেছিল বলে পার্টির লোকেরা কামানোর সুযোগ পেল। না হলে দেড় লাখ টাকা, ১ লাখ টাকার সিসিটিভি কি করে হয় আমরা তা জানি না। এর আগে এ রাজ্য সরকার যেসব সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছিল রাস্তায়, হাসপাতালে সেগুলো একটাও চলে না। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি যে এত বড় আন্দোলন শৌচালয় আর সিসিটিভির জন্য, সেটাই লাগেনি এখনও।

৫) আর জি কর মামলা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা তো এটাই বুঝতে পারছি না যে বিচার কোথায় হবে। যেখানে মামলা সুপ্রিম কোর্টে চলছে, সেখানে শিয়ালদা কোটের কি গুরুত্ব থাকতে পারে? যারা আইনের বিশেষজ্ঞ তারাই বলতে পারবে। আমরা সাধারণ বুদ্ধিতে এটা বুঝতে পারছি না যে কেসটা কোথায় হবে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.