আজ থেকে শুরু বিজেপির দু’দিনের জাতীয় সম্মেলন। বিজেপি সূত্রে খবর, অধিবেশনে যোগ দেবেন সারা দেশের প্রায় ৮০০০ বিজেপি নেতা। জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যেরাও যোগ দেবেন সম্মেলনে। বাংলার সব সাংসদ, বিধায়করাও থাকছেন অধিবেশনে। ডাক পেয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, তথাগত রায়রাও। প্রথামাফিক, সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার বক্তৃতা দিয়ে শুরু হবে অধিবেশন, শেষ হবে নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা দিয়ে।
লোকসভা ভোটের লড়াইয়ে নামার আগে কী ভোকাল টনিক নমোর, নজর থাকবে সেদিকে। শনিবার সকালেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে কলকাতা বিমান বন্দরে পৌঁছন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য। বিমানবন্দরে দেখা গেল বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষকেও। দু’দিনের অধিবেশনে দু’টি রেজোলিউশন পাস করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, রেজোলিউশনের প্রথমটি হতে পারে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে। আর দ্বিতীয়টি হতে পারে দেশের আর্থিক পরিস্থিতিতে বিজেপির অবস্থান প্রসঙ্গে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ মুহূর্তে দলের নেতা-কর্মীদের কী ভাবে কাজ করতে হবে, তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ তথা উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আলাদা কিছু পরামর্শ দেওয়া হতে পারে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। চলবে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত। উপস্থিত থাকবেন ন্যাশনাল কাউন্সিলের সব সদস্য, গোটা দেশের সব জেলার বিজেপি সভাপতি, লোকসভার কনভেনার, ফিনান্স কমিটি, মিডিয়া সেলের কনভেনার, আইটি সেলের কর্মীরা।
সন্দেশখালি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তারা কোন চিঠি দেবেন কিনা সে প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘জানি না সেটা ওখানে গেলে কথা হবে। তবে এখানকার যারা পার্টি নেতৃত্ব রয়েছেন তারা প্রতিনিয়ত রিপোর্ট পাঠান এবং ওখান থেকে রিপোর্ট চাওয়াও হয়। সাংসদের দল পাঠিয়েছিলেন, নাড্ডাজি তারা ঘুরে গিয়েছেন, পরিস্থিতি দেখেছেন, লোকের সঙ্গে কথা বলেছেন, তারা রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন। বিভিন্ন এসি ও এসটি সমাজের তরফ থেকে চিঠি লিখছেন রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীকে। লুকানোর কিছু নেই, আপনারাও দেখাচ্ছেন, সরকার বা অন্যান্য এজেন্সি কি করেন সেটা দেখার।’
এমনকী বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সেটা রাজ্যের মানুষকে নতুন করে বোঝানোর কিছু নেই। সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়েছে। সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, সাংবিধানিক ব্যবস্থা আক্রান্ত, আইনশৃংখলার পরিস্থিতি আক্রান্ত, সাংবিধানিক প্রধান আক্রান্ত, আদালত আক্রান্ত হচ্ছে। মৌলিক অধিকার এবং মহিলাদের অধিকার ও বাজেয়াপ্ত হয়ে যাচ্ছে। জনবিচ্ছিন্ন অবস্থা তৈরি হচ্ছে। কমিশন কি বলেছেন সেটা তাদের অবজারভেশন তারা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই মুহূর্তে এটাই চায়।’